বাবলা আহমেদ, কালিগঞ্জ : দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির পরে হঠাৎ বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছিল, কিন্তু এক টানা পাঁচ দিনের বর্ষণে কালিগঞ্জ উপজেলা এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। নদীর বেড়িবাঁধের বাইরে চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে অনেকস্থানে। অতিরিক্ত পানি জমে রোপন কৃত আমন ফসলের ক্ষেতের ক্ষতি পুশিয়ে আবাদের জন্য উপকার হয়েছে।
শেষের দিকে এ বৃষ্টিতে কৃষকের মনে কিছুটা সস্থি ফিরে এসেছে, তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিন্ম চাপে পরিণত হওয়ায় মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির ফলে এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত রবিবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত টানা ভারি বর্ষণে এলাকায় দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। দিনভর বৃষ্টি থাকায় রাস্তায় যানবহন ঠিকমত চলাচল করেনি।
থেমে থেমে বৃষ্টির পানিতে উপজেলার নিন্মাঞ্চলে হাটু পানি জমে গেছে। টানা বৃষ্টির ফলে সবচেয়ে বিপাকে পড়েন নি¤œ আয়ের দিন-মজুর মানুষেরা, তারা কাজ করতে পারছে না ঠিকমত। অনেকেই বাড়ি হতে বের হতে পারেনি।
উপজেলার কৃষক রফিকুল সরদার, আব্দুল জলিল গাইন, জাকির হোসেন পাড়সহ বড়বড় চাষীরা জানান, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আমন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় তরিতরকারীর ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছিল। আবার কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারনে ফসলের জমিতে পানি বেঁধে ক্ষতি হতে পারে। তবে এখন থেমে গেলে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবেনা কৃষককুলের।
এদিকে কয়েকজন দিনমজুর বলেন প্রতিদিন মজুরের কাজ করে তাদের সংসার চালাতে হয়, কিন্তু ভারি বর্ষণের কারণে রবিবার হতে আমরা কোথাও কাজ করতে যেতে পারিনি। এলাকার চাষাবাদ কিছুটা প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। চিংড়িচাষীরা বলেন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে মাছচাষ স্বাভাবিক ছিলোনা, আবার হঠাৎ ভারী বৃষ্টি হওয়ায় একটু ক্ষতি হবে।
তবে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার চিংড়ি ঘেরে সদ্য রোপনকৃত আমন ধানের উপকার হবে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কিছু এলাকার রাস্তায় পানি জমতে দেখা যায়। এভাবে একটানা আর কয়েক ঘন্টা বৃষ্টি চলমান থাকলে কিছু এলাকার মৎস্য ঘের এবং ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যাবে এবং ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক কুল।