সেলিম হায়দার তালা : এবছর বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে ছিল ধান ও পাট চাষীরা। সেখানে শরৎ এর মাঝামাঝি এসে টানা চারদিনের বৃষ্টি। কখনও ঝিরিঝিরি তো কখনও মুষলধারে। সাতক্ষীরার তালায় গত চার দিনের বৃষ্টিতে কৃষকের মুখে স্বস্তির হাসি।
তালার ঘোষ নগর গ্রামের লক্ষীকান্ত রায় বলেন, বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে থেকে পাটে অনেক ক্ষতি হইছে আমার। আর এখন এই বৃষ্টি না হলে এবার ধানের ভুঁইও রোতাম না। গত চারদিন বৃষ্টি হওয়ায় আজকে ধান রোয়া শুরু করছি। বৃষ্টি হওয়ায় সব চাষীর অনেক উপকার হইছে। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায় তালার ঘোষ নগর এলাকার বিলে ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা।
অপরদিকে, ভ্যানচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টিতে আয় ইনকাম নেই। এই ছিটছিটে বৃষ্টির মধ্যে একদিকে রাস্তাঘাটে লোকজন কম আবার ভ্যানেও কেউ উঠতে চায়না। এমন বৃষ্টি যদি আরও কয়দিন হয় তাহলে আমার সংসার অচল হয়ে যাবে।
পথচারী শাহিনা আক্তার বলেন, বৃষ্টির মধ্যে বাজারঘাট করতে পারছি না ঠিক মত। কিন্তু আজকে বের না হলেই নয় এমন অবস্থা। আবার ছেলেমেয়েরাও স্কুলে আসতে পারছে না এই বৃষ্টিতে।
খলিলনগরের মাছ চাষী দিপায়ন মন্ডল জানান, ঘেরে পানি বলতে গেলে প্রায় ছিলই না। এখন পর্যন্ত বৃষ্টিতে ঘেরচাষীদের মাছের জন্য অনেক উপকার হয়েছে, কিন্তু এই বৃষ্টি যদি মুষলধারে দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে ঘের তলিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হবে অনেক ঘেরচাষী। সর্বপরি টানা চারদিনের বৃষ্টি তালার কৃষি ও মৎস্য চাষীদের জন্য আশির্বাদ হয়ে এলেও, সাধারণ জনজীবন কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, কৃষকেরা এতদিন অনাবৃষ্টিতে ভুগছিল। অবশেষে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কৃষকেরা ধানের চারা রোপণ শুরু করেছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে এবার ভালো ফলন পাবে কৃষকেরা।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের সূত্র মতে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপের ফলে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।