বিলাল হোসেন, শ্যামনগর : শ্যামনগর উপজেলার বিড়ালাক্ষী আশ্রয়ন প্রকল্পে আম্বিয়া বেগম নামের এক বৃদ্ধার সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ঘর হতে জোরপুর্বক বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পেটের দায়ে ইট ভাটায় কাজ করতে যাওয়ার সুযোগে তার ভাই আবুল কালাম ঘরটি পাহারা দেয়ার সুযোগে দখল করে নিয়েছে ।
এঘটনার প্রতিকারের দাবিতে বৃদ্ধা আম্বিয়া স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ জানানোর পরও প্রভাশালীদের হস্তক্ষেপে প্রতিকার না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। জানা যায়, গত ২০১৬ সালে শ্যামনগরের বিড়ালাক্ষী এলাকায় নদীর চর ভারাট করে ভ‚মিহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পটি গড়ে ওঠে।
এসময় তথ্য যাচাই বাছাই শেষে বৃদ্ধা আম্বিয়া বেগমের অনুকুলে একটি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। সেখানে বসবাসের এক পর্যায়ে সহায় সম্বলহীন ঐ বৃদ্ধা পেটের দায়ে ইট ভাটায় কর্মরত শ্রমিকদের রান্নার কাজে এলাকার বাইরে যান। এসময় আম্বিয়া বেগমের অনুপস্থিতিতে তার ভাই আবুল কালাম সেখানে বসবাসের সুযোগ চায় এবং কাজ শেষে ফিরতেই ঘরটি বুঝিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেয়। কিন্তু আম্বিয়া বেগমের এলাকায় ফিরলেও তাকে বরাদ্দের নির্দিষ্ট ঘরটি ফেরত দেয়া হয়নি। ঘরটি জবর দখলে রেখে তাকে ঐ এলাকা থেকে বের করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে তিনি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ জানালেও প্রতিকার মিলছে না। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের যোগসাযশে আবুল কালাম ঘরটি জবর দখল করার পর এখন তা নিজের নামে বরাদ্দ নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল কালামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি দীর্ঘদিন ধরে এখানে আমি আমার মায়ের আইডি কার্ড না থাকায় আম্বিয়া বেগমের ঘর টি নেয়া হয়েছিল।
এবিষয়ে আটুলিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু বলেন, আমার কাছে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি যদি অভিযোগ করে তাহলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। বৃদ্ধার অভিযোগ ঝড় বৃষ্টির মধ্যে তিনি অতিকষ্টে বরাদ্দকৃত ঘরের পাশে অসহায়ভাবে দিনাতিপাত করছে। অথচ আবুল কালাম ও স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র টি তার নামের ঐ ঘরটি নিজেদের অনুকুলে কাগজপত্র তৈরীর জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। ষাটোর্ধ্ব বয়সী ঐ বৃদ্ধা নিজের বরাদ্দের ঘর জবরদখলকারীদের থেকে ফিরে পেতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।