অহিদুজ্জামান দেবহাটা : দেবহাটা সহ অন্যান্য এলাকায় ছোট খাট মৎস্য ঘের চাষীরা এনজিও থেকে ক্ষুদ্র ঋন নিয়ে জমি লিজ নিয়ে বাগদা ও গলদার রেনু ক্রয় করে ঘেরে ছাড়ার পর মাছ ধরার মুখে ভাইরাসের কারনে বেশির ভাগ মৎস্য চাষীরা লাভের চেয়ে লোকসানের ভাগ পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে অধিকাংশ ঘের চাষীরা ঘেরের ভেড়ী বাঁধ গুলোতে সবজী চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
দেবহাটার কুলিয়া এলাকার মোজামের পুত্র মৎস্য চাষী আলম জানান, কিয়েক বছর যাবৎ বিঘা প্রতি ১৬হাজার টাকা দরে ১০বিঘা জমি লিজ নিয়ে বাগদা, গলদা ও সাদা মাছের চাষ করে আসছিলাম। তাতে আমার বেশির ভাগ সময় লোকসান হতো। গত ২বছর যাবৎ আমার ঘেরের ভেড়ীতে জ্যৈষ্ঠ মাসে ১-১৫দিনের মধ্যে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করে তার ৭দিন পর চারা রোপন করি। রোপনের ৪০-৪৫দিনের মধ্যে কুমড়ার ফুল ও ফল শুরু হয়, তার ৪৫দিন পর কুমড়া পাকতে শুরু হয় অর্থাৎ ভাদ্র মাসে ১-১৫দিনের মধ্যে পাঁকা কুমড়া গুলো কেজি প্রতি গড়ে আনুঃ ২০-২৫টাকা দরে আনুঃ ৪০-৪৫মন কুমড়া আনুঃ ৪৫হাজার টাকায় বিক্রয় করি।
চাষে মোট ৯হাজার টাকা খরচ হয়েছে। খরচ বাদে লাভ হয়েছে ৩৬হাজার টাকা। কুমড়া ওঠার পরে উক্ত জায়গায় ১৫ ভাদ্র মাস থেকে টমেটো চাষ করি। টমেটো বীজ বপনের ২০-২৫দিন পর চারা রোপন করা হয়, ২০বিঘা মৎস ঘেরের ভেড়ীতে ১হাজার চারা রোপন করা হয়। চারা রোপনের ৪০-৪৫দিন পর টমেটো গাছে ফুল ফল শুরু হয়, তার ২০-২৫দিন পর থেকে টমেটো পাকা শুরু করলে বিক্রি করি। প্রথম দিকে দাম একটু বেশি হলেও পরে গড়ে প্রতি কেজি ২০টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রতি গাছে ১২-১৫ কেজি টমেটো হয়। রোপন করা ১হাজার গাছে আনুঃ ৩-৪শত মন টমেটো হয়।
টমেটো চাষে খরচ আনুঃ ৩৫হাজার টাকা। টমেটো বিক্রি হয় আনুঃ ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা, খরচ বাদে লাভ হয় ১লক্ষ ১৫হাজার টাকা। এছাড়া উক্ত জায়গায় কুমড়া এবং টমেটো ছাড়াও শশা, লাউ, লাল শাক প্রভৃতি সবজি চাষ করা হয়। মৎস্য চাষের পাশাপাশি উক্ত ঘেরের ভেড়ীতে সবজি চাষ করার পর থেকে আমি এখন স্বাবলম্বী হয়েছি।