শেখ বাদশা, আশাশুনি : আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী শামসুন্নাহারকে (৪৫) ছুরির আঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫ টার দিকে উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সোমসের সরদারের ছেলে ঘাতক স্বামী গোলাম মোস্তফাকে আটক করেছেন। ঘাতক গোলাম মোস্তফার ভাই নুরুল ইসলাম জানান, গোলাম মোস্তফা মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। প্রতি মাসে তাকে ইনজেকশন দেওয়া লাগে। না দিলে পাগলামি বেড়ে যায়। সম্প্রতি তার পাগলামি বেড়ে গিয়েছে। রবিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সামান্য গোলযোগের পর একসাথে ঘুমিয়ে ছিল। ভোর রাতে ঘরের মধ্যে গোঙানির শব্দ শুনে তিনি তাদের ঘরের পাশে গিয়ে দরজা বন্ধ দেখতে পান। এসময় গোলাম মোস্তফা দরজার ছিটকানি খুলে দ্রæত পালিয়ে যায়।
তিনি ভেতরে গিয়ে শামসুন্নাহারকে মুমূর্ষূ অবস্থায় দেখতে পেয়ে হাসপাতালে নিতে উদ্যোগ নিলে ততক্ষণে শামসুন্নাহার মারা যায়। অপর ভাই হেলাল সরদার জানান, মোস্তফার ব্রেনের সমস্যা দীর্ঘ ১৫/১৬ বছরের। তাকে নিয়মিত ইনজেকশান দিতে হয়। রবিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোলযোগ হয়েছিল। ভোর রাতে সে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে স্ত্রী মারা যায়। মোস্তফাকে আটকের পর সে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে এবং ব্যবহৃত ছুরি বের করে দিয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ বলেন, স্বামী মোস্তফার ব্রেনের সমস্যা আছে, এলাকায় সে মোস্ত পাগল বলে পরিচিত। সে ভোর ৫ টার দিকে স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে জেনেছি। পরে তাকে পাতাখালী থেকে আটক করা হয়েছে। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দেবহাটা সার্কেল) এস এম জামিল আহম্মেদ ও আশাশুনি থানার ওসি মমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম সাতক্ষীরার সকালকে জানান, গৃহবধূর স্বামী এলাকায় মোস্ত পাগলা নামে পরিচিত। ভোর রাতে মোস্ত স্ত্রীকে মেরে পালিয়ে যায়। পুলিশ দ্রæত অভিযান চালিয়ে শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালী গ্রাম থেকে দুপুর ১ টার দিকে ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে প্রেরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।