বিলাল হোসেন, শ্যামনগর : বনবিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভিযানে সংরক্ষিত এলাকায় অবৈধভাবে মাছ ধরার অপরাধে ৭ জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগ। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আগুন জ্বালা ও ইলশেমারি এলাকা থেকে তাদের আটক করেন সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোছাইন সহ বন বিভাগের সদস্যরা। এ সময় জেলেদের ব্যবহৃত ২টি নৌকা, ৩১টি ফাঁস জাল, আহরনকৃত মাছসহ মাছ ধরার সরঞ্জাম জব্দ করে বনকর্মীরা।
আটক জেলেরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে খান জাহান (৫০), খানজাহান আলীর ছেলে মাসুম বিল্লাহ (২৫), মোহর আলী ছেলে নূর হোসেন (৩০), খুলনার কয়রা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের সাহেব আলীর সানার ছেলে আলমগীর সানা (৪৫) বিএলসি নারী, সাইদুল মোড়লের ছেলে আব্দুল আলিম (৪১), আরশাদ আলী সরদারের ছেলে হাফিজুর (৩৫), হৃদয় মন্ডলের ছেলে প্রদিপ কুমার, নূর মোহাম্মদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৭), সামছুর রহমানের ছেলে দলিল উদ্দিন (৪৫) ও বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের আব্দুর রশিদ সরদারের ছেলে ইমাম হোসেন।
আটককৃতরা বলেন, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেনের মাধ্যমে চুক্তি বদ্ধ হয়ে আমরা সুন্দরবনে প্রবেশ করি। এবিষয়ে ইমাম হোসেনর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সুন্দরবনের সাথে যুক্ত নই আমাকে বিতর্কিত করতে একটি মহল চেষ্টা চালাচ্ছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান জানান, এধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী সাত জেলা আটকের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা স্যারের তথ্য অনুযায়ী সুন্দরবনের নটাবেকী এলাকার আগুনজ্বালা ও ইলশেমারি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। বন আইনেই তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। সবধরনের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে পশ্চিম সুন্দরবন বদ্ধপরিকর।