অহিদুজ্জামান দেবহাটা : সাতক্ষীরা সড়ক বিভাগের বিরুদ্ধে রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপরে উচ্ছেদের লাল চিহ্ন দেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগীরা জানান, সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে তাদের পাকা-আধাপাকা দোকানঘর সহ মালিকানাধীন বসতবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগ ইচ্ছা মতো লাল চিহৃ দিয়ে ক্রস মারকিং করেছে।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, বিগত সড়ক বিভাগের নকঁশা অনুযায়ী যে অধিগ্রহন করা হয়েছিল বর্তমানে তা মানা হচ্ছে না। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং এল.ও.এ শাখা পূর্ব হইতে কোন নোটিশ না দিয়ে রমজান আলী মোড়লের মালিকানাধীন কুলিয়া মৌজার হালখতিয়ান- ৩৩৬, সাবেক- ৫৭১দাগ ও হাল-১৫১৩ দাগে মালিকানাভুক্ত মার্কেটের উপর লাল চিহ্ন দেওয়া হয়েছে।
মার্কেট মালিক রমজান মোড়ল বলেন, পূর্বে সড়ক বিভাগের নকঁশা অনুযায়ী সরকারী খাস জমি বাদ দিয়ে আমার রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর আমি মার্কেট নির্মাণ করেছি। কিন্তু নোটিশ ছাড়া আমার মার্কেটের মধ্যে সড়ক বিভাগ লাল চিহ্ন দিয়েছে। ভুক্তভোগী তাছলিমা খাতুন জানান, কুলিয়া মৌজার এস.এ ১২৩৩ খতিয়ানে, ৫৭০ দাগে সড়ক বিভাগের নকঁশা অনুযায়ী পশ্চিমে ৫০ফুট অধিগ্রহন করার পরে আমি মার্কেট নির্মাণ করেছিলাম কিন্তু বতর্মান সার্ভেয়ার আমার মালিকানা জমিতে লাল চিহৃ দিয়েছে।
উক্ত সম্পত্তি গুলো মালিকানাধীন হাল রেকর্ডীয় সম্পত্তি বলে ভুক্তভোগীরা দাবী করেছেন। ঠিক তদরুপ কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ব পার্শ্বে জোহরুল ইসলামের সানি সুপার মার্কেটের (এস.এ খতিয়ান- ৪৩২, ডিপি খতিয়ান-৭৩০, সাবেক ১৩১২দাগ, হাল ২৭০০দাগ) সরকারী নিয়মনীতি ছাড়াই মার্কেটের অধ্যাংশ উচ্ছেদের লাল চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কিন্তু ভুক্তভোগী মার্কেট মালিক জানান, এ যাবতকাল যতবার সড়ক বিভাগের উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে রাস্তার মাঝ বরাবর থেকে ৬০ফুট। আমি মার্কেট নির্মাণ করার সময় সরকারী সার্ভেয়ার দিয়ে সড়ক বিভাগের নতুন ম্যাপ অনুযায়ী সড়কের জমি বাদ দিয়ে আমার রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে ৪তলা মার্কেট নির্মাণ করেছি। কিন্তু এবার সড়ক বিভাগ তাদের ইচ্ছামত রাস্তা থেকে ৭৫ফুট আমার মার্কেটের সামনের অংশে উচ্ছেদের লাল চিহ্ন দিয়েছে।
এবিষয়ে নলতার স্থানীয় সার্ভেয়ার খোকন জানান, সড়কের ম্যাপ অনুযায়ী রাস্তার মধ্যে থেকে রাস্তার পূর্ব পার্শ্বে ৬০ফুট জায়গা সড়ক বিভাগের অধীনে। তারা সম্পূর্ণ অনৈতিক ভাবে সানি সুপার মার্কেটে উচ্ছেদের লাল চিহ্ন দিয়েছে বলে আমি মনে করি। তবে এবিষয়ে আরো অনেকেই এমন অভিযোগ করছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা বলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগে মৌখিক ভাবে জানানোর পরও এখনো তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
ভুক্তভোগীরা বলেন, বিগত সময়ে সড়কের জমি অধিগ্রহনের সময় সড়কের সার্ভেয়াররা যে মাপ দিয়েছিলো আমরা সেই ম্যাপ অনুযায়ী সড়কের জায়গা বাদ দিয়ে আমাদের মার্কেট, বাড়ীঘর ও দোকান নির্মাণ করেছি। কিন্তু বর্তমান সার্ভেয়ার কারো কোন তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর লাল চিহৃ দিচ্ছে।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজামুদ্দীন আহম্মেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, তবে সড়কে অবৈধ উচ্ছেদেও পূর্বে পূনরায় মাফ জরিপ করা হবে। এ বিষয়ে অভিযোগকারিদের একজন স্থানীয় সার্ভেয়ার রাখতে হবে। এব্যাপারে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।