আলতাফ হোসেন বাবু : সাতক্ষীরায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এঁর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান স্পষ্ট পাকিস্থানের এজেন্ট ছিলেন। জিয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনী। ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। জিয়া অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় বসে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরুস্কৃত করেছে। তাদেরকে রাষ্ট্রদূত করে বিদেশে পাঠিয়েছে। খুনী মোস্তাক বলেছিলো স্বাধীনতার কোন দরকার নেই, স্বাধীনতারযুদ্ধ বন্ধ করে আমরা পাকিষ্থানের সাথে থাকতে চায়। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সারাজীবন পৃথিবীর শোষিত দুঃখী মানুষের পক্ষে ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু বিশ্ব নেতাদের দরবারে সাহায্য চায়নি। তিনি বলেছিলেন অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন। অস্ত্র প্রতিযোগিতার অর্থ দিয়ে লেখা পড়া, স্বাস্থ্য সেবা ও দারিদ্রতা বিমোচন করুন। তিনি ছিলেন বিশ্ব নেতা, তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন পৃথিবী আজ দুইভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক আর একদিকে শোষিত। আমি শোষিতদের পক্ষে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সারাজীবন পৃথিবীর শোষিত দুঃখী মানুষের পক্ষে ছিলেন। তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঙালী জাতির ভাগ্যন্নোয়নে ও দেশের কল্যাণে এবং দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।”
প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পঞ্চাশ বছরের মধ্যে স্বাধীনতার বিরোধীরা এদেশে ২৯ বছর ক্ষমতায় ছিলো। আর স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি তথা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২২বছর সরকার পরিচালনা করেছে।
স্বাধীনতার বিরোধীরা ক্ষমতায় থেকে দেশের জন্য কি দিয়েছে? তারা দুর্নীতিতে তিন তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। তাই আগামী নির্বাচনে দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সকলকে এক্যবদ্ধ থেকে আবারও নৌকা মার্কার বিজয় আনতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক, যুগ্ম -সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড’র সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবরঞ্জন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, শেখ সাহিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আখতার হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড. ফরিদা আক্তার বানু, সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯স্না আরা, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুনছুর আহমেদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন শামস্, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত কুমার ঘোষ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সরদার নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শফি উদ্দিন শফি, জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য নাজমুন নাহার মুন্নি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম আশিকুজ্জামান আশিক, সহ-সভাপতি কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল, সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক মীর আজহার আলী শাহিন, যুগ্ম-আহবায়ক শেখ তৌহিদ হাসানসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, আ.লীগ নেতৃবৃন্দ ও জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
##