এএফএম মাসুদ হাসান : সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ির জন্য বিখ্যাত। জিআই পণ্য চিংড়ি বাংলাদেশের হোয়াইট গোল্ড হিসেবে পরিচিত। সাতক্ষীরা হতে চিংড়ি দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ করা হয় এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিশয় মুনাফার লোভে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অপদ্রব্য পুশ করে চিংড়ির ওজন বৃদ্ধি করে আসছে ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চিংড়ির রং আকর্ষনীয় করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল, শ্যামনগর সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও সহকারী পরিচালক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরাদের সমন্বয়ে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করাকালীন চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশ করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪২ ধারায় চিংড়ি মাছের মালিক মুজাহিদ(২৫) ও আল আমিন (২১) নামের দুইজনকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত জনতার সামনে অপদ্রব্য পুশকৃত ৬০ কেজি চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয় বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে। র্যাব জানায়, অর্থদন্ড প্রাপ্ত ব্যক্তিদ্বয় জরিমানাকৃত অর্থ তাৎক্ষনিক ভাবে স্বেচ্ছায় পরিশোধ করেন, যাহা বিধি মোতাবেক সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করা হয় এবং জব্দকৃত চিংড়ি মাছ ধ্বংস করা হয়েছে।