আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের গাজীপুর আলিম মাদ্রাসার ৫টি পদে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২৯ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এ নিয়োগ স্থগিত ঘোষনা করেছেন। ৩০ সেপ্টেম্বর ওই প্রতিষ্ঠানের অবৈধ নিয়োগ বন্ধের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবক, সুধি সমাজ এবং সাধারন মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে জেলা প্রশাসককে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এ দিকে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান একাধিক হামলা মামলায় জড়িয়ে এ অবৈধ নিয়োগের আশ্রয় নিয়েছে। তার অনিয়ম, দূর্নীতি স্বজন প্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যে এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষদের ভাবিয়ে তুলেছে। এমনই অভিযোগে কাকড়াবুনিয়া, গাজীপুরসহ পাশ্ববর্তী গ্রামবাসীর পক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দূদক, জেলা প্রশাসকসহ একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। জানাগেছে গাজীপুর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদটি দীর্ঘদিন শুন্য থাকায় ২০০৭সালে নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়।
কিন্তু তৎকালীন সময়ে এ অধ্যক্ষের আচারনে এলাকাবাসীর বাধার মুখে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। পরবর্তিতে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে অবশেষে ২০১৮ সালে ওই প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেন। প্রতিষ্ঠানের এতিমখানায় এতিম ছেলে-মেয়ে না থাকা সত্বেও তার মেয়াদকালে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে আতœসাৎ করেছে।
এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ফান্ডের লক্ষ লক্ষ টাকার জবাব দিহিতা নেই বললে চলে, অধ্যক্ষ নিজেই যেটাই মনে করবেন সেটা হয়ে আসছে। চলতি বছর সরকারী নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত কমিটি করার কথা থাকলেও তিনি পেশী শক্তির বলে বিধিমালা লঙ্ঘন করে নাম মাত্র একটি পাতানো কমিটি করে। এ কমিটি অধ্যক্ষের নিজের পছন্দের লোক দিয়ে বিতর্কিত কমিটি বানিয়ে অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া করতে চেয়েছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার, পরিচ্ছন্ন কর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া মোট ৫টি পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল। এরমধ্যে অধ্যক্ষের ছেলে অফিস সহকারী, ভাইয়ের স্ত্রী আয়া বাকী প্রার্থীরা সকলে অধ্যক্ষের পছন্দের বলে জানাগেছে। এ ব্যাপারে নিয়োগ বন্ধ কেন? তার মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার ব্যবহৃত ফোনটি রিসিভ করেননি। তবে সহকারী শিক্ষক শফিউল আযম জানান, ৩০ সেপ্টেম্বর আমদের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু অনিবার্য কারনবসত পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে বলে অধ্যক্ষ আমাকে জানিয়েছেন।