আশাশুনি প্রতিনিধি : জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আইতলা গ্রামের শ্রীপতি বাছাড়। উপজেলার বুধহাটা বাজার ও কুল্যার মোড় বাস স্ট্যান্ডে বাদাম বিক্রি করেই শ্রীপতি বাছাড়ের সংসার চলে। অভাবের সংসারে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারি ব্যক্তি তিনি। তার পরিবারে স্ত্রী সহ সাত মাসের একটি ফুটফুটে সন্তান রয়েছে।
তিনি এ প্রতিবেদককে জানান তার ৭ মাস বয়সি বাচ্চাকে ২ দিন পর পর ০১ প্যাকেট দুধ কিনে খাওয়াতে হয়। যা তার পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। বাদাম বিক্রি করে তার প্রতিদিন দেড়শত থেকে দুই শত টাকা ইনকাম হয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ার সুবাদে ভিক্ষা বৃত্তির পথ বেছে নিলে হয়তো তার ইনকাম আরো অনেক বেশি হত। কিন্তু তিনি ভিক্ষাবৃত্তি না করে বাদাম বিক্রি করে কোন মতেই সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে বাদাম বিক্রি করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শ্রীপতি বাছাড়ের সংসার চালানো এবং তার কোমলমতি শিশু বাচ্চাটির শিশুখাদ্য (দুধ) কিনতে কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। শ্রীপতি বাছাড় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তার সংসারে অভাব-অনটন থাকা শর্তেও এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো সাহায্য সহায়তা পাননি তিনি। তিনি সরকারি সহায়তা পেতে ও তার শিশু সন্তানের শিশুখাদ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সমাজের দানবীর ব্যক্তির কাছে সহায়তার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান ওমর সাকী ফেরদৌস পলাশ বলেন বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। তবে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে কোন পরিবার অনাহারে থাকবে না। তাকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।