সকাল ডেস্ক : সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিত্যক্ত লিফটের নিচে বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলীর মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালকসহ চারজনের নামে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. কুদরত-ই-খোদা, টেকনিশিয়ান আব্দুল হালিম, ওয়ার্ড মাস্টার মুরাদ হোসেন ও লিফটম্যান আরিফ।
নিহত সৈয়দ আলী মন্ডল সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের বৈচনা গ্রামের বাসিন্দা। তার মরদেহ উদ্ধারের সময় পুলিশ জানায়, লিফটে উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত তার মৃত্যু হয়েছে। লিফটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। মামলার বাদী নিহতের ছেলে আব্দুল্লাহ বলেন, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা। গত ৪ অক্টোবর ওষুধ নিতে তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছান আনুমানিক বেলা ১১ টায়।
এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ৫ অক্টোবর সদর থানায় নিখোঁজের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করি। এরপর ৯ অক্টোবর বাবার গলিত মরদেহ হাসপাতালের পরিত্যক্ত লিফটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা এবং হাসপাতালের সাধারণ কর্মচারী ও কিছু দালালের দৌরাত্বের কারণে আমার বাবার এমন নৃশংস মৃত্যু হয়ছে।
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স.ম কাইয়ুম বলেন, নিহতের ছেলে বাদী হয়ে হাসপাতালের পরিচালকসহ চারজনের নামে মামলা দিয়েছেন। মামলাটি নথিভুক্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।