বিলাল হোসেন, শ্যামনগর : মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভূতি কি পেতে পারে না অসহায় পরিবারের ৪ বছরের শিশু সন্তান তুহিন সরদার! যে সময় টা কাটবে খেলার মাঠে মায়ের কোলে পিতার ঘাড়ে চড়ে কিন্তু বিধাতার কি নিয়ম আড়াই বছর বয়সে বালুতে খেলতে যেয়ে চোখে বালু পড়ে বাম চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থা দেখে তুহিনের মা তাকে ছেড়ে চলে গেছে।
বৃদ্ধা দাদি হাফিজার কোলে উঠে নিজের জীবন বাঁচাতে সাহয্যের জন্যে ঘুরছে মানুষের দ্বারে দ্বারে। শিশু তুহিন মানুষের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে অনেকে সমান্য কিছু সাহায্য দিয়ে থাকে তাই দিয়ে চলে তার চিকিৎসা। ডাক্তার বলেছে দ্রæত অপারেশন না করলে তাকে আর বাঁচানো যাবে না।
তুহিন সরদার (৪) শ্যামনগর সদর ইউনিয়ানের ফুলবাড়ি গ্রামের হাফিজ সরদারের ছেলে। সংসার ও ছেলের চিকিৎসার খরচ চালাতে নিজেকে চালাতে হয় ভ্যান। তুহিন সরদারের অবস্থা দেখে তার মা দাদির কাছে রেখে চলে গেছে বাপের বাড়িতে। তুহিন সরদার দাদির কাছে থেকে বাঁচার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
দাদি হাফিজা বেগম জানান, আড়াই বছর আগে তুহিনের চোখ ভালো ছিল সে খেলাধূলা করে বেড়াতো হঠাৎ একদিন বালু গাদায় খেলা করতে যেয়ে চোখে বালু পড়ে তার চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থা দেখে তার মা তুহিনকে ছেড়ে চলে গেছে। ডাক্তার বলেছে তাড়াতাড়ি অপারেশন না করলে ক্যান্সার হয়ে যাবে তাকে বাঁচানো কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা খুব গরীব মানুষ তার অপারেশনের জন্যে অনেক টাকার প্রয়োজন, কোথায় পাবো এতা টাকা!
তুহিনকে সাথে নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহার্য চাচ্ছি। টাকা জমিয়ে ঢাকাতে নিয়ে তার অপারেশন করবো। তুহিনকে অন্য শিশুদের মত স্বাভিক ভাবে ফিরিয়ে আনতে সমাজের বৃত্তবানদের ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। তারপরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৫৬৭৭৪১১৪। শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের চেয়াম্যান এ্যাড: জহুরুল হায়দার বাবু বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে তার অপারেশনের জন্যে সব ধারনের সহযোগিতা করা হবে।