রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল; খুলনা : কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ আগামী ২২ অক্টোবর। গণসমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে খুলনা বিভাগের প্রতিটি জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ডে চলছে ব্যপক প্রস্তুতি। আর এই সমাবেশকে সামনে রেখে ২ দিন অথ্যাৎ সমাবেশের আগের দিন ও সমাবেশের দিন আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাতে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানাগেছে। অপরদিকে, টানা দুই দিন আন্তঃজেলা বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়বে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ। বিভাগীয় শহরের সাথে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২শ’ বাস দেশের ১৮টি রুটে চলাচল করে।
আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব বলেন, আগামী ২১ ও ২২ অক্টোবর খুলনা থেকে সকল বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাস মালিক সমিতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শ্রমিক ইউনিয়ন এর সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, আগামী ২২ অক্টোবর খুলনায় বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন অনেকাংশেই চুড়ান্ত করেছে বিএনপি। প্রথমে শহরের হাদিস পার্কে সমাবেশের দাবি থাকলেও খুলনা মেট্রো পলিটন পুলিশের কাছ থেকে সোনালী ব্যাংক চত্বরে সমাবেশের অনুমতিও পেয়েছেন দলটি।
সমাবেশের আনুষ্ঠানিক অনুমতি পাওয়ার পর থেকে ২২ অক্টোবর দুপুরে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে এই সমাবেশ সফল করতে চুড়ান্ত প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে বলে দলটির একাধিক সূত্র জানিয়েছেন। খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন-আন্তঃজেলা বাস বন্ধ করে বিএনপির সমাবেশকে বাঁধা গ্রস্থ করার পায়তারা করা হচ্ছে। এটা কোন সভ্য দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা হতে পারেনা।
এই ধরনের অপরাজনীতির সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুলনার বিভিন্ন উপজেলা এবং বিভাগের ৯টি জেলা থেকে সমাবেশে নেতাকর্মীদের আসা বাধাগ্রস্ত করতে পরিকল্পিতভাবে বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের বিষয়টি আগেই আশঙ্কা করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমরাও সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি। বিভাগের ১০ জেলার নেতাকর্মীদের যে কোনোভাবে সমাবেশে আগেভাগে আসতে বলা হয়েছে। নৌপথে, নসিমন, করিমন, ভ্যান, মোটর সাইকেল, সাইকেল যেকোন মাধ্যমে নেতাকর্মীরা আগে এসে খুলনা নগরীর আবাসিক হোটেল ও আত্মীয়দের বাসায় অবস্থান নিয়ে সমাবেশ সফল করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এই নেতা।
অপরদিকে, এই রুটে চলাচলকারী ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের কাজে আসা মানুষ গুলো পড়তে পারে বিপাকে। এসম্পর্কে ডুমুরিয়ার আটারো মাইল এলাকার সোবহান নামের এক ইজিবাইক চালক বলেন- আমি প্রতিদিন বাড়ি থেকে খুলনায় গিয়ে সারাদিন ইজিবাইক চালিয়ে রাতে বাড়িতে ফিরে আসি কিন্তু টানা দুই দিন বাস বন্ধ থাকায় মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হবে। তিনি আরও বলেন-আমি একা না আমার মত বহু লোক এই সমস্যায় পড়বে।