বিলাল হোসেন, শ্যামনগর : শ্যামনগরে বাদানুবাদের জেরে রবিউল ইসলাম (৩৩) নামে ঔষধ কোম্পানির এক বিক্রয় প্রতিনিধিকে ছুরিকাঘাত করেছে স্থানীয় বখাটে মিলন হোসেন (২০)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের ভেড়ারমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় আহত যুবককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেও অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ইনসেপ্টা কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি রবিউল একই গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর গাজীর ছোট ছেলে। এঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক মিলনের পিতা শাহাজানসহ ভগ্নিপতি আবুকে আটক করেছে। স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ির সামনের সড়কে দাড়িয়ে রবিউল ও আব্দুল হান্নান কথা বলছিলেন।
এসময় দু’জন তর্কে জড়িয়ে পড়লে আব্দুল হান্নানের ছেলে মিলন দ্রæত বাড়ির মধ্য হতে বের হয়ে এসে রবিউলের পেটের মধ্যে ধারালো চাকু ঢুকিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে রবিউল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, এঘটনায় পুলিশ দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
পপি আক্তারকে হেনস্তাকারী ছাত্রলীগ কর্মীর শাস্তি দাবী বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদেও গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী হাসান হাফিজ কর্তৃক বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের আহবায়ক পপি আক্তারকে হেনস্তার ঘটনা ঘটে। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে একজন নারী সাংস্কৃতিক কর্মীর সাথে এমন ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ইবি সংসদ।
একইসাথে এই ঘটনায় নারী নিপীড়নকারী ছাত্রলীগ কর্মী হাফিজকে বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে সংগঠনটি। এক যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ইবি সংসদের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে একজন নারী শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মীর সাথে এমন ঘৃণ্য হেনস্তার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
একই সাথে এই ঘটনার মূল হোতা মেহেদী হাফিজের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূল ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। আমরা বিস্মিত যে, ক্যাম্পাসের মতো একটি নিরাপদ জায়গায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নারী নিপীড়নের মতো ঘটনা ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেমন নূন্যতম নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ তেমনি নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও ব্যর্থ। এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জার।’
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘আমরা দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী হাফিজকে বিচারের আওতায় এনে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের আহŸান জানাচ্ছি। এই আহবান বাংলাদেশ উদীচী পরিবারের৷ এই আহবান সাংস্কৃতিক কর্মীদের।’