কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবাসহ বিভিন্ন ভাতার জন্য নির্দ্ধারিত টাকা না পেয়ে ক্ষোভে ও হতাশায় কালিগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিস ঘেরাও করেছে ভাতাভোগীরা। রবিবার সকাল ১০ টার দিকে তারা সমাজসেবা অফিস ঘেরাও করে তারা হ্যাকারদের কবল থেকে তাদের রক্ষা করতে এবং ভাতার টাকা পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় উপজেলার নলতা ইউনিয়নের সেহারা গ্রামের বয়স্কভাতা কার্ডধারী জামাত আলি, ঝায়ামারি গ্রামে নজির আলী গাজী, নলতাশরীফ গ্রামের সদর উদ্দিন, পাইকাড়া গ্রামে প্রতিবন্ধী কার্ডধারী রহিমা খাতুন, ধলবাড়িয়াা ইউনিয়নের ধলবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম, সেকেন্দারনগর গ্রামের বয়স্কভাতা কার্ডধারী মোহাম্মদ আলী, রতেœশ্বরপুর গ্রামের সোবহান মোড়ল, ধলবাড়িয়া গ্রামের প্রতিবন্ধী কার্ডধারী আনোয়ারা বেগম, রতনপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী কার্ডধারী নাহিদা পারভীন, উকশা গোবিন্দপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী কার্ডধারী জানুসহ শতশত ভাতাভোগী সাংবাদিকদের কাছে তাদের ভাতার টাকা না পাওয়া, বিভিন্ন ভোগান্তি ও হ্যাকারদের টাকা উত্তোলন করে নেয়ার বিষয় তুলে ধরে এর আশু প্রতিকার দাবি করেন।
তারা বলেন, অধিকাংশ ভাতাভোগীর টাকা হ্যাকাররা তুলে নিয়ে গেছে। ২/৩ মাস ধরে তারা কোন ভাতার টাকা পান না। অনলাইনে আবেদন করে তাদের ভোগান্তি আরো বেড়েছে। তাছাড়া সমাজসেবা অফিসের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সুপারভাইজারদের এবং অফিস স্টাফদের অসহযোগিতার অভিযোগ করেন তারা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা লিখিতভাবে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। সমাজসেবা অফিসে কোনো সমস্যার কথা বললে তারা থানায় যেতে বলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলায় মোট ২৯০৯২ জন ভাতা পেয়ে থাকেন। এর মধ্যে বয়স্ক ভাতাভোগী হল ১৬ হাজার ২৮৫, প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ৫ হাজার ৯৫, বিধবা ভাতাভোগী ৭ হাজার ৩৯০, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর দলিত শ্রেণির ভাতাভোগী ১০২, প্রতিবন্ধী শিক্ষা ভাতাভোগী ৪০ এবং প্রতিবন্ধী অনগ্রসর শিক্ষাবৃত্তি পান ১৮০ জন। এখনো পর্যন্ত সবার টাকা তাদের ‘নগদ’ নাম্বারে ঢোকে নি। দেরিতে ঢোকাসহ বিভিন্ন ভোগান্তী হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি।