সকাল ডেস্ক : ছাত্রকে আত্মহত্যার প্ররোচনা করায় শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ইউনিভার্সিটি অব লেবারেল আর্টস (ইউল্যাব) এর সামনে সকাল ১০টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ মানববন্ধন হয়।
জানাগেছে, উইল্যাবের দুজন শিক্ষকের অমানবিক আচারণে নিজেকে আত্মত্যাগের পথ বেঁছে নেয় উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র দীপ্র। মানববন্ধনে অংশ নেন দীপ্রর বাবা, মা, ভাই, সহপাঠী ও শুভাকাঙ্খীরা। দীপ্র’র ভাই বলেন, ‘গত ১৭ অক্টোবর আমার ভাই তানভীর আরেফিন দ্বীপ্র তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ দিন দুইজন শিক্ষকের পাশবিক এবং অমানবিক আচরণের কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
দ্বীপ্র তার একাডেমিক বিষয়ে সমস্যা হলে সেই বিষয়ে দায়িত্বরত একজন শিক্ষককে অবগত করে শেষ দিনের মত সাহায্য প্রার্থনা করলেও সেই শিক্ষক তাকে সাহায্য করার ব্যাপারে গাফিলতি করে এবং দ্বীপ্রকে যথেষ্ট অপমান এবং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। তারা নিজেদের দোষ সম্পূর্ণ ভাবে দ্বীপ্রর উপর চাপিয়ে দেয়। দ্বীপ্রর মত একজন মেধাবী ছাত্রের সঙ্গে তার সকল সহপাঠিদের সম্মুক্ষে তীব্র অপমান এবং মৌখিক অসৎ আচরণ করে।
ঐ দিনই আমাদের দ্বীপ্রকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে। এর ফলশ্রæতিতে আমাদের দ্বীপ্র সেই দিনই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্তের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সাহায্য চাইলে তারা আমাদের সহযোগিতা করে না। বরং একটি সম্পূর্ণ একপাক্ষিক, নেতিবাচক, অবহেলা এবং গাফিলতিপূর্ণ তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।
কিন্তু আমাদের হাতে ওই দুইজনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট পরিমান তথ্য প্রমান থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গা-ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা এর বিচার চাই। আমি দীপ্রর ভাই, আমরা দীপ্রর পরিবার এবং সকল বন্ধু-বান্ধব এবং সকল শুভাকাঙ্খী এই জঘন্য ঘটনার বিচার চাই।’ দীপ্রর বন্ধুরা জানায়, ‘আমরা আহবান করছি এরূপ ঘটনা যাতে আর কোনো ভাই তার ভাইকে না হারায়, কোনো মা-বাবা তার সন্তান না হারায়, কোনো বন্ধু যাতে আর কোনো বন্ধু না হারায়। পৃথিবী যাতে দ্বীপ্রর মতো কোনো মেধাবী ছাত্রকে না হারায়।’