এস.এম মজনু, পাটকেলঘাটা : জমিদার আমল থেকে ইতিহাসের কালের সাক্ষী হিসেবে দুধের হাট পাটকেলঘাটা খলিষখালী বাজার। এলাকার ১৫ থেকে ২০টি গ্রাম পাড়া গা থেকে পুরুষ/মহিলারা মিলে দুধ বিক্রয় করতে আসে দলবেধে। দেশি গাভি গরু থেকে ২/৩ কেজি, ফ্রিজিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ান গাভি দুধ দেয় ১৫/২০ কেজির মত। এই দুধ বিক্রয় করে খলিষখালীসহ আশপাশের অনেক অসহায় পরিবার সাবলম্বী হয়েছে।
দূর দুরান্ত থেকে দুধ ক্রয় করতে বেপারিরা ও ঘোষেরা ছুটে আশে খলিষখালীর বাজারে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুধ বেচা কেনা শুরু হয়। ১৫ বছরের বালক বালিকারা সহ বাড়ীর গৃহবধূ ও পুরুষরা সবাই মিলে জগে, পুরানো মাটির কলসে, প্লাস্টিকের বালতিতে করে একে একে জড় হতে থাকে দুধ বাজারে। ২শত বছর পূর্ব থেকে দুধ বাজার নামে পরিচিত খলিষখালীর বাজার বটতলা নামক স্থান।
দূর-দূরান্ত সহ এলাকার কারও কোন অনুষ্ঠানে দুধের প্রয়োজন হলে ছুটে যায় খলিষখালী দুধ বাজারে। এই বাজার থেকে স্বল্প মূল্যে দুধ ক্রয় করে ব্যবসায়ীরা দেশের প্রায় ২০টি জেলার বিভিন্ন কারখানায় পাঠিয়ে থাকেন। এছাড়া এখান থেকে দুধের তৈরী মিষ্টি যেমন: সন্দেশ, দই, চমচম, দানাদার, ছানার জিলাপী, রাজভোগ, পেড়া সন্দেশ সহ বিভিন্ন মিষ্টি এলাকার কারিগররা তৈরী করে সরবরাহ করে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
এর মধ্যে সাতক্ষীরা, খুলনা, পিরোজপুর, বরিশাল, যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর, ঝিনাইদহ এদিকে দক্ষিন অঞ্চল পাইকগাছা, কপিলমুনি, আশাশুনি, শ্যামনগর, কালিকঞ্জ সহ অত্র এলাকায় সরবরাহ হয়।
এ বিষয়ে শ্যামল ঘোষ নামক এক দুধ ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চাইলে উত্তরে বলেন, আমি এই খলিষখালী বাজার থেকে দুধ কিনে ৩০ বছর যাবত দুধ বিক্রয় করে আমার পরিবারের স্বচ্ছলতা পেয়েছি। এক সময় ১০টাকা সেরে দুধ কিনতাম এখন সেই দুধ কিনতে হয় ৩৫-৪০ টাকা দরে।