শহর প্রতিনিধি : ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এপর্যন্ত ১৫জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। সোমবার সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালিন কলারোয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম ও সাংবাদিক হাবিবুর রহমান।
আগামী ২০ নভেম্বর মামলা দু’টির যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৯ জন আসামীকে আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করানো হয়। অপর ৯ জন আসামী পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, জিপি অ্যাড. শম্ভুনাথ সিংহ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু এবং আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. শাহানারা আক্তার বকুল, এড. আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত : ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন।
এঘটনায় করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এছাড়া গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়।