অহিদুজ্জামান, দেবহাটা : সাতক্ষীরা সহ দেবহাটার বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের মূল্য উর্দ্ধগতিতে দিশে হারা নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষ। লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে সকল প্রকারের সবজি, চাল, ডাল, চিনি, মুরগী, ডিম, মাছ, মাংসসহ নিত্যপণ্যের দাম।
নতুন সবজি ওঠার পরেও কিছু দিন ধরে সকল প্রকার সবজির দাম বেড়েছে। সরজমিনে যেয়ে জানা যায়, বর্তমানে শীতের সবজি সিম কেজি ৮০টাকা, ফুলকপি ৭০ থেকে ৮০, বাধা কপি ৪০/৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ৬০/৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ডায়মন্ড আলু ৫০টাকা, করলা ১০০টাকা, কচুরমুখি, ওল ৬০/৬৫ টাকা, কাকরোল ৬০টাকা, পেপে কেজি ১৫/২০ টাকা, দেশী বিদেশী টমেটো ৮০/১০০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, ঝিঙ্গে ৪৫ টাকা, ঢেড়শ ৩০ টাকা, লাল শাক ৪৫ টাকা, পুইশাক ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমানে আলুর দাম স্থিতিশীল হওয়ায় সবশ্রেণীর মানুষের আলুই একমাত্র ভরসা। সে হিসেবে সবজির মূল্য নিত্য আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে অনেক আগেই। দেবহাটার সখিপুর বাজারের এক কাঁচা মাল বিক্রেতা জানান, এবার সবজির দাম অনেক বেশী। প্রতিদিনই সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমদানী কম নয় কিন্তু দাম কমছে না।
দক্ষিণ বঙ্গের ঐতিহ্যবাহী পারুলিয়া, সখিপুর আসা ক্রেতা সাহেদ ইসলাম জানান, এমনিতেই নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তার উপর শাকসবজির মূল্য আকাঁশছোয়া। বর্তমান বাজারে ব্রয়লার মুরগী ২২০ টাকা, গরুর মাংশ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর মাছতো হাত দিলেই ৪৫০ টাকা কেজি। তিনি বলেন, তিনি দৈনিক মুজুরীতে কাজ করে ৩০০ টাকা করে পান। তাও আবার প্রতিদিন কাজ হয়না। মাসে হয়তো ১৫/২০ দিন কাজ হয়।
এদিকে উপজেলার কয়েকটি খুচরা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিকট থেকে অভিযোগ উঠেছে, উপজেলাতে কুলিয়া পারুলিয়া সখিপুর বাজারসহ কয়েকটি চালের আড়তে আছে। তারা আবার সিন্ডিকেট করে ইচ্ছে মতো চাউলের দাম বা রেট নামিয়ে ইচ্ছামতো কারসাজি করে নিজেরা টাকা হাতিয়ে নেন। মোটা চাউলের কেজি ৪০/৫৫ টাকা, চিকন চাউল ৫৫/৭০টাকা। দেবহাটার আসাদুল নামে এক দিন মুজুরি জানান, দিন মজুরের কাজ করে আমার প্রতিদিনের সংসার চলে তার মধ্যে মঝে কাজ হয় না তখন আমাকে দেনা করে খেতে হয়। বিষয়টি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের তদারকির দাবী জানিয়েছেন সাধারন মানুষ।