আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার খাজরায় আদালতের রায়কে অমান্য করে বেআইনি ভাবে এক বৃদ্ধার সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে খাজরা ইউনিয়নের উত্তর খাজরা গ্রামে। জবর দখলের হাত থেকে নিজের সম্পত্তি উদ্ধার ও আইনে ন্যায় বিচার পেতে সাতক্ষীরা সহকারী জজ আদালতে ১৪৫ ধারায় আব্দুর রাজ্জাক দিংদের বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন অসহায় ফাতেমা খাতুন দিং।
আদালতের রায় সূত্রে জানাগেছে, উত্তর খাজরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক দিংদের সাথে এজমালীর সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল একই এলাকার অসহায় বৃদ্ধা ফাতেমা খাতুনের সাথে।
এ ব্যাপারে আব্দুর রাজ্জাক দিং বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সিনিয়র সহকারী জাজ আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৯৬/২০০০. মামলার শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের দখলীয় কাগজপত্র, সাক্ষীদের জবানবন্দী, নথি পর্যালোচনা করে বিবাদী (ফাতেমা খাতুন) পক্ষের অনুক‚লে রায় বা ডিগ্রি প্রদান করেন। সরেজমিন তথ্য অনুসন্ধানে স্থানীয় বাসিন্দা বিল্লাল খা বলেন, রাজ্জাক দিংরা সম্পূর্ণ গায়ের জোরে ফাতেমা খাতুনের জমি জবরদখল করে জমির উপরে হট্টগোলসহ মারপিট করতে উদ্যত হয়।
স্থানীয় নবাব আলী সরদার, মানিক গাজী ও আব্দুল হাকিম এ প্রতিপদককে বলেন, রাজ্জাক গাজী ও তার লোকজন অত্যন্ত হিংস্র ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক। তারা আদালতের রায়কে তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে ফাতেমা খাতুনের সম্পত্তি বে-দখল করে রেখেছে। ফাতেমা খাতুনের স্বামী আকের গাজী বলেন, আব্দুর রাজ্জাক গাজীদের বিরুদ্ধে ১৪৫ ধারায় মামলা করলেও তারা আইন-কানুনকে তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত জমির উপর যাতায়াত করতে থাকে। বাঁধা দিলে বাঁশের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারপিট, খুন, যখম করতে তেড়ে আসে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক গাজী জানান আদালত রায় দিলেও নালিশি সম্পত্তি এখন আমাদের দখলে। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেছি। আপিলের রায় শেষে নালিশি সম্পত্তির বিষয় সিদ্ধান্ত নেবো। এ ব্যাপারে অসহায় বৃদ্ধা, হতদরিদ্র ফাতেমা খাতুন আইনে ন্যায় বিচার পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সাথে আইন ও আদালত অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
