স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবল বিশ্বকাপের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই আল বাইত স্টেডিয়ামে দেখা গেল মরুভূমির প্রাণী উট। এরপর এক শিল্পীর কণ্ঠে আরবি গানের মূর্ছনা। সবাইকে বিস্মিত করে ৬০ হাজার দর্শকের সামনে হাজির হন খ্যাতিমান আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক ও বক্তা মরগান ফ্রিম্যান। তার সঙ্গে দুই পা বিহীন কাতারি এক কিশোরের উপস্থিতি সবার হৃদয়কে নাড়া দেয়।
ফ্রিম্যান ও কাতারি কিশোরের কথোপকথনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ঐক্য এবং সহনশীলতা। কাতারে বিশ্বের সবাইকে স্বাগত জানানোর বার্তা। দর্শকদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনের আলো যেন জ্বলতে থাকে পুরো স্টেডিয়াম। এমন সাড়া জাগানো পারফরম্যান্স দিয়েই আল বাইত স্টেডিয়ামে কাতার বিশ্বকাপের পর্দা উঠেছে। রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৪০ মিনিটে শুরু হয় প্রায় আধা ঘণ্টার অনুষ্ঠান। এরপর শত শত নৃত্যশিল্পী এবং সঙ্গীতশিল্পী মঞ্চে আসেন। গ্যালারিতে থাকা সবাই তখন উল্লাসে ছিল মাতোয়ারা।
খানিক পর পারফর্মাররা মাঠে এসে জোরে জোরে ড্রাম বাজাতে থাকেন। চলতে থাকে ঐতিহ্যবাহী তরবারি নাচে। এ সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে মেজে উঠেছিল ‘প্লিজ ডোন্ট টেক মি হোম গান। এরপর অতীতকে স্মরণ করাতে ১৯৯৮ বিশ্বকাপের থিম সং কাপ অব লাভ, ২০১০ বিশ্বকাপের ওলে ওলে ওলা আর ১০১৮ বিশ্বকাপের ওয়াকা ওয়াকার সঙ্গে নৃত্যশিল্পীদের পারফর্ম করতে দেখা যায়। বাদ যায়নি কেনানের ফ্ল্যাগ গানটিও।সাউথ কোরিয়ার বিখ্যাত ব্যান্ড দল বিটিএস’র গায়ক জাংকুক কাতারি গায়ক ফাহাদ আল-কুবাইসির পাশাপাশি একটি ড্রিমার গানটি সবার মন ছুঁয়ে যায়।
সবশেষে কাতার বিশ্বকাপের মাসকট ‘সুপার-স্কিলড প্লেয়ার'(আরবি ভাষায় লা’ইব) শুন্যে ভাসানো হয়। লা’ইব দেখতে বন্ধুত্বপূর্ণ ভূত ক্যাসপারের মতো। ১৯৪০ এর দশকের শেষের দিকে ক্যাসপার চরিত্রের কমিক্স প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে এটি একটি চলচ্চিত্রে ও কার্টুনে পরিণত হয়।অনুষ্ঠান শুরুর আগে বিশ্বকাপ ট্রফি মাঠে এনে তা একটি বক্সে ভরে রাখেন ফ্রান্সের কিংবদন্তি ফুটবলার মার্সেল দেসাইলি। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক কাতারের মুখোমুখি হবে লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর।