স্পোর্টস ডেস্ক : হার দিয়ে শুরু হয়েছিল কাতার এবং সেনেগালের বিশ্বকাপ যাত্রা। আল সুমামা স্টেডিয়ামে দুটি দলের জন্যই তাই ছিল টিকে থাকার ম্যাচ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ে শেষ ষোলোর আশা বাঁচিয়ে রেখেছে আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নরা। একই সঙ্গে এক ম্যাচ আগেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছে স্বাগতিক কাতার।বৈশ্বিক আসরের এ গ্রæপের টেবিলে একটি করে জয় তুলে সমান ৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডর। এক ম্যাচ বেশি খেলা সেনেগালিজদের পয়েন্টও ৩।
হিসেব অনুযায়ী, গ্রæপপর্বের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে দিলেও কাতারের শেষ ষোলোর সম্ভাবনা অনেকটাই অনিশ্চিত। শুক্রবার আশা বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে পুরোটা সময়ে দাপট দেখিয়েছে সেনেগাল। ৫৪ শতাংশ বল দখলে রেখে আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নরা নিয়েছে দশটি শট, লক্ষ্যে ছিল যার পাঁচটি। বিপরীতে আটটি শটের তিনটি লক্ষ্যে থাকে স্বাগতিক দলের। আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসা সেনেগালিজদের প্রথমার্ধের অনেকটা সময় আটকে রাখে কাতারের রক্ষণভাগ।
ভুলটাও শেষ পর্যন্ত তারাই করেন, বিরতির আগে ৪১ মিনিটে বোয়ালেম খোউখি বড় ভুল করে বসেন। বল বিপদমুক্ত করতে গেলেও পারেননি। আলগা বল পেয়ে জাল কাঁপান বৌলে ডিয়া। খেলার ২৪ মিনিটে গুয়েই পরীক্ষা নেন কাতার গোলরক্ষক মেশাল বারশামের। ১৬ মিনিটে কাছের পোস্টে ছুটতে থাকা দিয়াত্তার শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন বারশাম। দ্বিতীয়ার্ধের তিন মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে নেন ফামারা ডায়ধু। ইসমাইল জেকবসের কর্নার থেকে দারুণ এক হেড করেন ডায়ধু।
৬৭ মিনিটে মেন্ডি স্কোরলাইন অক্ষত রাখেন। ছয় গজ বক্সে ইসমাইল মোহাম্মাদের ভলি ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন সেনেগালের গোলরক্ষক। এরআগেও করেন দুটি দুর্দান্ত। ৭৮তম মিনিটে ব্যবধান কমায় কাতার। ইসমাইল মোহাম্মাদের ক্রসে ডি-বক্সে লাফিয়ে হেডে বিশ্বকাপে দেশের প্রথম গোলটি করেন ফরোয়ার্ড মোহামেদ মুনতারি। ৮৪ মিনিটে ব্যবধান আবার বাড়িয়ে নেয় সেনেগাল। সতীর্থের পাস ডি-বক্সে পেয়ে কাটব্যাট করেন ইলিমান নায়ায়ে, পেনাল্টি স্পটের খুব কাছ থেকে বল জালে পাঠান বাম্বা ডিয়াং। নির্ধারিত সময়ের শেষে বড় জয়েই শেষ ষোলোর আশা বাঁচিয়ে রাখে সেনেগাল।
##