ডেস্ক রিপোর্ট : শিশুদের মাঝে শিষ্টাচার বিষয়ক আলোচনা সভা করেছে কালেরকণ্ঠ শুভসংঘের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সদস্যরা। রোববার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৯টায় দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও বৃহৎ বিদ্যাপিঠ নবজীবন ইনস্টিটিউটের এঞ্জেল থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের প্রথম সারির পত্রিকা কালের কণ্ঠের সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও শুভসংঘ সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি ফাহাদ হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নবজীবন ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে মোশারফ হোসেন বলেন, আজকের শিক্ষার্থী আগামী দিনের কর্ণধর। একজন শিক্ষিার্থীর শুধু বিদ্যা অর্জন করলেই চলবে না। তাকে বিভিন্ন চারিত্রিক গুণাবলিও অর্জন করতে হবে। একজন ভালো ছাত্র যদিশিষ্টাচার সম্পন্ন না হয় তাহলে সে কারোর কাছেই ভালোবাসা বা অনুপ্রেরণা পায় না। শিষ্টাচার মানুষকে বিনয়ী ও ন¤্র করে তোলে যার মাধ্যমে শিক্ষক ও সহপাঠীদের হৃদয়ে সহজে স্থান করে নিতে পারে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, শিষ্টাচার হঠাৎ করেই গড়ে উঠতে পারেনা। শিষ্টাচারের বীজ মূলত বোপন হয় শিশুকালেই। আর এ ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা প্রধান এবং পাশাপশি ভূমিকা রাখে স্কুল। শিশুরা অনুকরণ প্রিয়।
পরিবারে বড়রা যেমন ব্যাবহার করে, শিশুরা তাই অনুকরণ করে। তাই তাদেরকে শিষ্ঠাচার শেখাতে হবে শিশু থেকেই। ফাহাদ হোসেন বলেন, তোমরা পুরা শিক্ষাজীবনে যা কিছু পড়াশুনা করো আসলে তোমরা জানতে পারো যাস্ট কিছু ইনফরমেশন। এটা জানার জন্য স্কুলে আসা লাগে না। বাড়ি বসেই জানা যায়। স্কুলে আসার উদ্দেশ্য হলো লেখাপড়ার পাশাপাশি শিষ্টাচার শেখা। সহপাঠিদের সাথে মিশতে শেখা। শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় করতে শেখা। শুভসংঘের সদস্য ফারুক রাজ বলেন, শিষ্টাচার হলো ভদ্র, মার্জিত ও রুচিসম্মত আচরণ।
একজন মানুষ ভালো নাকি মন্দ তা নির্ধারিত হয় মানুষের আচারণ দেখেই। শিষ্টাচার মানুষকে সংযমি ও বিনয়ী করে তোলে। মনুষ্যত্বের চরম বিকাশ ঘটিয়ে মানুষকে উন্নীত করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায়। শুভসংঘের সদস্য সাকিবুল হাসান, মুশফিক হোসেন বলেন, শিষ্টাচার সম্পন্ন ব্যক্তিকে সবাই ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে। তাদের স্থান সমাজের উঁচু স্তরে। কথা বলার ধরণ, ভাষা, চেহারার অভিব্যক্তি, অঙ্গভঙ্গি সবকিছুই শিষ্টাচারের লক্ষণ বহণ করে।
সৎ পথে থাকা, সত্য কথা বলা, অন্যের মঙ্গলে কাজ করা সবকিছুই শিষ্টাচারের অংশ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, নবজীবন ইনস্টিটিউটের সহকারি শিক্ষক শেখ মফিজুর রহমান, সিনিয়র শিক্ষক শেখ বোরহান আলি, কাজী মফিজুর রহমান, পলাশ কুমার, অতনু বোস, মাহমুদ হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান, প্রিতম দাস, রাশেদুজ্জামান, তুহিনা সুলতানা, সুরাইয়া, শাহানা আক্তার, শামীমা আক্তারসহ সকল শিক্ষক শিক্ষিকা।