শেখ মোসলেম আহম্মেদ, কলারোয়া : সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামি ১০ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপানের জন্য মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ধার্য্য দিনে আসামীপক্ষ সাঁফাই সাক্ষীর জন্য আবেদন জানালে সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল -৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলতা মঞ্জুর করেন।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৯ জন আসামীকে সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল -৩ এর কাঠগোড়ায় হাজির করানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, অ্যাড. আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাড. শাহানারা পারভিন বকুল প্রমুখ। সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. অব্দুল লতিফ বলেন, মঙ্গলবার ৩৪২ ধারায় আসামী পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আসামীপক্ষে এসটিসি ২০৭/১৫ মামলায় নয়জন ও এসটিসি ২০৮/১৫ নং মামলায় আটজন সাঁফাই সাক্ষী দেওয়ার জন্য তালিকা আদালতে পেশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করে মামলা দায়ের করে।
এ মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবির। এছাড়া গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়। এ দুটি মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলায় নয়জন আসামী পলাতক রয়েছে।