মঙ্গলবার , ৬ ডিসেম্বর ২০২২ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

আজ ৬ ডিসেম্বর কলারোয়ায় মুক্ত দিবস

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
ডিসেম্বর ৬, ২০২২ ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ

শেখ মোসলেম আহম্মেদ, কলারোয়া : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আজ ৬ ডিসেম্বর পাকিস্থানী হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্থানী সেনাবাহিনীকে হটিয়ে অবরুদ্ধ কলারোয়াকে হানাদারদের কবল থেকে মুক্ত করে স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন করে। ঐতিহাসিক ও গৌরব উজ্জ্বল এই দিনটি এবারেও কলারোয়াতে পালিত হবে।

সূত্র মতে, মহান মুক্তিযুদ্ধের কলারোয়ায় ৩৪৩ জন বীর সন্তান অংশ নেন। শহীদ হন ২৭জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এর মধ্যে কলারোয়ার বীর সন্তান রয়েছে ৯ জন। আর এ পর্যন্ত কলারোয়ার ৮টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। দীর্ঘ ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে কলারোয়ায় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয় ৬টি স্থানে। প্রতিটি যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে পাকবাহিনীকে পরাস্থ করেন।

কলারোয়া অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধা পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে শতাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত প্রবাসী সংগ্রাম পরিষদ। এই সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন এমসিএ প্রয়াত মমতাজ আহম্মেদ, ভাষা সৈনিক প্রয়াত শেখ আমানুল্লাহ, সাবেক সংসদ প্রয়াত বিএম নজরুল ইসলাম, যুদ্ধকালিন কমান্ডার প্রয়াত মোসলেম উদ্দীন, প্রয়াত শ্যামাপদ শেঠ, ইনতাজ আহম্মেদ, মোছলদ্দীন গাইন ও ডাঃ আহম্মদ আলী। কলারোয়া এলাকাটি ছিলো মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সেক্টরের অধীনে।

পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম যুদ্ধ পরিচালনা করেন কলারোয়ার দুই বীরযোদ্ধা প্রয়াত মোসলেম উদ্দীন ও আব্দুল গফ্ফার। এই দুই বীরযোদ্ধার নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন কলারোয়ার বীর সন্তান গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ আলী গাজী, আবুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও আঃ রউফসহ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা। সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে সংগঠিত রক্তক্ষয়ী ওই যুদ্ধে ৬ শতাধিক পাকিস্থানী সেনা নিহত হন। কলারোয়ায় হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি বড় ধরনের সম্মুখ যুদ্ধ হয়।

এ যুদ্ধেই ২৯ জন পাকিস্থানী সেনা নিহত হয়। শহীদ হয় ১৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর কলারোয়ার সীমান্ত এলাকা কাঁকডাঙ্গা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে হানাদাররা কাঁকডাঙ্গার ঘাটি ছাড়তে বাধ্য হয়। অক্টোবরের শেষদিকে মুক্তিযোদ্ধারা যশোরের বাগআঁচড়ায় দুঃসাহসিক হামলা চালিয়ে ৭ পাক রেঞ্জারকে হত্যা করেন। কলারোয়ার খোরদো এলাকাও একই সাথে মুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

কলারোয়ার বীর যোদ্ধাদের ধারাবাহিক সফল অপারেশনের মুখে কোনঠাসা হয়ে পড়ে পাক বাহিনী। কিন্তু পাক বাহিনী যখন বুঝতে পারে পরাজয় নিশ্চিত, তখন তারা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর চেষ্টা করে। এরই অংশ হিসেবে ৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কলারোয়ার বেত্রবতী নদীর লোহার ব্রিজ মাইন দিয়ে ধ্বংস করে পাকসেনারা পালিয়ে যায়। এভাবে দীর্ঘ ৯ মাস কলারোয়ার বিভিন্ন স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমনে অবশেষে ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী সেনারা কলারোয়া ছাড়তে বাধ্য হয়।

৬ ডিসেম্বর এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা কলারোয়াকে মুক্ত করেন। সাথে সাথে কলারোয়া থানা চত্বরে স্বাধীনদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। কলারোয়ার স্বাধীনচেতা মুক্তমনের মানুষ উড়ন্ত পাখির মত উড়তে থাকে। ঐতিহাসিক ও গৌরবোজ্জ্বল দিনটি এবারও পালন করছেন কলারোয়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এবং কলারোয়ার বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

তালায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক সভা

সড়কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লাবসার মোড়ে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট

আশাশুনির বড়দলে বিএনপির অবৈধ কমিটি দেওয়ার প্রতিবাদে মশাল মিছিল

আখড়াখোলা-ছাতিয়ানতলা রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন এম রবি

জাসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তালায় সভা ও শোভাযাত্রা

দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের যুব বিভাগের কমিটি গঠন

লিডার্সের পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে সার ও ধানবীজ বিতরণ

নির্মাণ কাজে টেকসই উপকরণ ব্যবহার করার আহবান জানালেন ভূমিমন্ত্রী

তালায় ছেলের মারপিটের প্রতিবাদে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা!

জলবায়ু কর্মী সোহানের বিরুদ্ধে সাইবার সিকিউরিটি মামলা প্রত্যাহারের দাবি তরুণদের