অহিদুজ্জামান, দেবহাটা ব্যুরো : সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামে কপি চাষে কৃষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। কপি চাষী মাহমুদপুর গ্রামের মৃতু কেরাতুল্লা মোড়লের ছেলে মহিদুল ইসলাম জানান, এবারের কপি চাষে খুবই লাভবান হয়েছি। মাহমুদপুর এলাকায় আনুঃ ১হাজার বিঘা, কুইক স্টার, জিরো ফাইভ, গ্রেড বল, কুইক বল জাতের ওল কপি ও নিমজা, সনোবক্স, হোয়াইট মারবেল জাতের ফুলকপি চাষ করা হয়েছে।
১৫ভাদ্র মাস হতে বীজ বপন করা হয়, বীজ বপনের ২৫-৩০দিন পর চারা রোপন করা হয়। ১কাঠা জমিতে ১হাজার ওল কপির চারা রোপন করা হয় ও ১কাটা জমিতে ২০০-২৫০ ফুল কপি চারা রোপন করা হয়। রোপনের ৪৫-৫০দিন পর কপি তোলা শুরু হয়। ১কাঠা জমিতে আনুঃ ৩-৪ মন ওল কপি ও ১কাঠা জমিতে ৫মন ফুল কপি উৎপাদন হয়। ১বিঘা বা ২০কাঠা জমিতে আনুঃ ৬০-১০০মন কপি উৎপাদন হয়।
কপি ওঠার প্রথমে কেজি প্রতি ওল কপি ৩৫টাকা ও ফুলকপি কেজি প্রতি ৪০টাকা দরে বিক্রি হয়। পরবর্তীতে গড়ে প্রতি কেজি ১৫-২০টাকা দরে বিক্রি হয়। ১বিঘা জমি চাষ করতে খরচ হয় আনুঃ ২৫-৩০হাজার টাকা এবং ১বিঘা জমিতে কপি বিক্রয় হয় আনুঃ ৫০-৬০হাজার টাকা। কপি চাষের পাশাপাশি উক্ত জমিতে পটলের চারা রোপন করা হয়। কপি ওঠার পরপরই পটলের চারা পরিচর্যা পরে পটল উৎপাদন হয়। তাতেও চাষীরা লাভবান হয়ে থাকে। মাহমুদপুর এলাকা থেকে বিপুল পরিমান কপি ও পটল সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকার কাঁচা বাজার ছাড়াও ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানী করা হয়। অনেক কৃষক কপি ও পটল চাষ করে লাভবান হয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে। একজন প্রকৃত কৃষক এদেশের বড় সম্পদ। তারা তাদের জমিতে কপি ছাড়াও বিভিন্ন সবজি চাষ করে দেশকে আরোও এগিয়ে নিতে পারবে।