সকাল ডেস্ক : এক নারীকে দেহ ব্যবসায়িসহ বিভিন্ন আপত্তিকর কথা লিখে সংবাদ পরিবেশন করায় সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের নুরুল ইসলামের মেয়ে রুবিনা আক্তার কেয়া বাদি হয়ে মঙ্গলবার সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
বিচারক মো: হুমায়ুন কবীর আগামি ৩০ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাতক্ষীরার গোয়েন্দা, অপরাধ ও তদন্ত শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রুবিনা আক্তার কেয়া স্বামী ও দুই পুত্র সন্তানকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সংসার করে আসছিলেন। এরই মধ্যে আশাশুনি উপজেলার কুল্লার মোড়ের মতিউর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আসামী হাবিবুর রহমানের প্ররোচণায় তারই আত্মীয় মোস্তাফিজুর রহমান রুবিনা আক্তার কেয়াকে তার স্বামীকে তালাক দিয়ে দুই সন্তানকে রেখে মোস্তাফিজুরের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেন। সে অনুযায়ি তারা বিয়ে করে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। কিছুদিন পর মোস্তাফিজুর বাপের বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে ও যৌতুকের টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় রুবিনাকে মারপিট করে তাড়িয়ে দিলে তিনি সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ১১(গ)/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলার খবর পেয়ে মোস্তাফিজুর রহমান তার স্ত্রী রুবিনাকে হত্যার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় রুবিনা সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে সিআর-১২৪৯/২২(সাত) মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মোস্তাফিজুর বিয়ে অস্বীকার করায় রুবিনা সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। বিচারক মো: জি. আযম মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। (জিআর-৮২২/২২ সাত:)। এরপর আত্মীয় মোস্তাফিজুরের প্ররোচণায় আসামী হাবিবুর রহমান তার সাতনদী পত্রিকায় গত ৩ ও ৪ ডিসেম্বর ‘ভয়ানক মক্ষি রানী রুবিনার অজানা কাহিনী’ শীর্ষক দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রকাশিত সংবাদে রুবিনা আক্তার কেয়ার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসায়িসহ বিভিন্ন আপত্তিকর কথা ছাপা হয়।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী বাদিপক্ষের এড. সুনীল কুমার ঘোষ জানান, মামলাটি (সিআরপি-১৫০২/২২ সাত:) তদন্ত করে আগামি ৩০ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মুখ্য বিচারিক হাকিম মো: হুমায়ুন কবীর সাতক্ষীরার গোয়েন্দা, অপরাধ ও তদন্ত (সিআইডি) শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।