মোঃ নজরুল ইসলাম, পাইকগাছা (খুলনা) : পাইকগাছার গড়ইখালী কাঁচা ধান কর্তন করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে। কর্তণকৃত ধান জব্দ রয়েছে। এঘটনায় অত্র এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার শান্তা গ্রামের মৃত্যু মজিদ ফকিরের পুত্র খসরুর কাগজ পত্র ও সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার কুমখালী মৌজার এস এ ১ খতিয়ানের ১.৫০ একর জমি কুমখালী গ্রামের গোসাই দাস মন্ডল ভূমিহীন কৃষক হিসাবে ৫১৭/৭৯-৮০ নং খাস বন্দোবস্ত মামলায় সরকারের নিকট থেকে ১৫ বছর মেয়াদী প্রাপ্ত হন। খাস বন্দোবস্ত পেয়ে তিনি যথারীতি চাষকারকীত সহ ভোগ দখলে ছিলেন।
পরবর্তীতে তিনি উক্ত সম্পত্তি একই উপজেলার পাটকেল পোতা গ্রামের মৃত্যু আবুবকর গাজীর পুত্র আজিবর গংরা গত ইং ১৩/৬/১৯৯৫ তারিখে ২৭৯৭/৯৫ নং দলিলে খরিদ করে সরকারের কর খাজনা প্রদান পূর্বক ভোগ দখল করে আসছে। উক্ত আজিবর গংরা গত ইং ২৩/৩/০৭ তারিখে ১১১২ নং কোবলা দলিলে গড়ইখালী ইউনিয়নের শান্তা গ্রামের মৃত্যু মজিদ ফকিরের পুত্র খসরু ও মাহতাজুল বরাবর হস্তান্তর করেন।
সেখান থেকে অদ্যবদি তারা উক্ত সম্পত্তি কর খাজনা প্রদানে ফসলাদি চাষাবাদ করে ভোগ দখল করে আসছেন। বর্তমান সেটেলমেন্ট জরিপে তাদের নামে রেকর্ড গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। খসরু জানান, ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার খুব ভোরে নায়েব আবদুল মালেক ও তার সহকারী জালাল হোসেন ২০/২৫ জন লোক এনে আমার প্রায় সাড়ে তিন বিঘা সম্পত্তির কাঁচা ধান কর্তন করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে। আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে যেয়ে কারণ জানার চেষ্টা করলে তিনি এলাকা থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং তিনি স্থানীয় বাইনবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে জানালে পুলিশ এসে ধান জব্দ করেন। স্থানীয় লোকজন বলেন কাঁচা ধান কর্তন করা ঠিক হয়নি।