অহিদুজ্জামান, দেবহাটা ব্যুরো : শীত মৌসুম ব্যতীত সারা মাসে হাট বাজারে সবজির দেখা গেলেও মূল্য সহনশীল ছিল না। কিন্তু বর্তমান সময়ে শীতকালীন সবজি উঠতির কারনে বাজার গুলোতে সবজির মূল্য অনেক কম। সবজি বাজারের স্থানীয় পর্যায়ে থাকায়, ক্রেতারা আনন্দের সাথে সবজি ক্রয় করছে। ফুলকপি, ওলকপি, বিটকপি, টমেটো, কুমড়া, সিম, পালংশাক, আলুসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির মূল্য আগের থেকে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজারে স্বস্তি বিরাজ করলেও অস্বস্তি আর বিড়ম্বনায় বিধ্বস্ত ভোজ্যতেল, মাছ, মাংস, চিনিসহ নানান ধরনের মিষ্টান্ন খাবারে। সম্প্রতি ভোজ্য সয়াবিনের মূল্যহ্রাস হলেও একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা বর্তমান দামের তুলনায় বেশি দামে ভোজ্য তেল বিক্রি করছে। স্থানীয়রা জানান, মৎস ঘের গুলো শুকানোর কারনে এই সময়ে সকল মাছের দাম কম থাকে অথচ সেই তুলনায় এবছরে মাছের দাম বেশি।
দেশি ডিম হারিয়ে যাচ্ছে। বাজারগুলোতে দেশি মুরগির ডিম প্রতিটি ১৩/১৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর এ ক্ষেত্রে এক শ্রেণীর ডিম ব্যবসায়ীরা প্রতারনার আশ্রয় নিচ্ছে। পোল্ট্রি ডিম দেশি মুরগির ডিম বলে বিক্রি করার অনৈতিক প্রতিযোগিতা চলছে তো চলছে। প্রতি কেজি পোল্ট্রি ১২৫ টাকা হতে ১৩০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেবহাটার বাজার গুলোতে মাংসের সামান্যতম ঘাটতি নেই, তবুও মূল্যবূদ্ধির অসম প্রতিযোগিতা চলছেই। প্রতি কেজি গরুর মাংসের মূল্য ৬৫০টাকা থেকে ৬৭০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কোন কোন বাজারে এর চেয়ে কম দরে বিক্রি হলেও, এক্ষেত্রেও একশ্রেণীর মাংস ব্যবসায়ীরা, ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করছে। খাসির মাংস তো সোনার হরিণ, উপজেলার বাজার গুলোতে খাসির মাংস ৯০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেবহাটা উপজেলার বাজার গুলোতে, ক্রেতাদের ঠকানোর যে মহা উৎসব চলছে, তা থামানোর জন্য প্রয়োজন জরুরী বাজার মনিটরিং। সেই সাথে যেসব অসাধু ব্যবসায়ী এই কাজে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা খুবই প্রয়োজন।