নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুরে পথ নিয়ে বিরোধের জেরে এক বীমাকর্মীকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে ব্রহ্মরাজপুর বাজারের পাশে প্রতিপক্ষের বাড়ির সামনে ওই বীমাকর্মীকে একা পেয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই গ্রামের অনীল কর্মকারের ছেলে রবীন্দ্র কর্মকার (৪১)।
একই গ্রামের নিতাই অধিকারীর ছেলে উত্তম অধিকারী ওরফে নেপাল (৩৯), ভৈরব অধিকারীর ছেলে সাগর অধিকারী (২০), উত্তম অধিকারী ওরফে নেপালের স্ত্রী রিনা অধিকারী (৩৫), ছেলে অন্ত অধিকারী (২০), নিতাই অধিকারীর ছেলে সনাতন অধিকারী ওরফে ট্যাংরা (৪০), ধনু অধিকারীর ছেলে মহাদেব অধিকারী (২৫) এর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন রবীন কর্মকার।
রবীন্দ্র কর্মকার বলেন, আমি মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ধুলিহর শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে কাজ করি। ৩০ বছর আগে উত্তম অধিকারীর শরীকের নিকট থেকে জমি ক্রয় করে বসবাস করছি। উক্ত জমিতে প্রবেশের জন্য ৬ ফুট চওড়া রাস্তা ম্যাপে নকশা করা আছে। দলিলে উত্তম অধিকারীর বাবা সনাক্তকারী হিসেবে স্বাক্ষর করেন। জমির রেকর্ড আমাদের নামেসহ খাজনা দাখিলা দিয়ে আসছি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা আমার চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ পথ বন্ধ করে আসার ষড়যন্ত্র করে আসছে।
এ নিয়ে তাদের সাথে পূর্ব থেকে শত্রæতা চলে আসছে। তারা ইতোপূর্বে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকবার মারধরসহ খুন জখমের হুমকী দেয়। এ বিষয়ে থানায় জিডিসহ অভিযোগ করি। স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বরসহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজন একাধিকবার শালিস বিচার করে। কিন্তু তারা কোন বিচার শালিষ মানে না। গত ১৯-০৯/২০১৯ তারিখে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদে শালিষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তারা উক্ত পথের জমি দলিল অনুযায়ী ছেড়ে দিবে বলে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে। কিন্তু তারা শালিস বিচার না মেনে উক্ত রাস্তার জমি দখল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
তাছাড়া গত ২২-১০-২০২২ তারিখে আমি বাজার থেকে ফেরার পথে তারা আমার পথ আটকে খুন জখমের হুমকী দেয়। স্থানীয়ভাবে শালিস বিচার হলেও তারা বিচার শালিস মানে না। সর্বশেষ ১২-০১-২০২৩ তারিখ অফিস থেকে আমার নিজস্ব ডায়াং ৫০ সিসি মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে বেলা অনুমান ০১.৪০ মিনিটের সময় উত্তম অধিকারীর বাড়ির সামনে রাস্তার উপর পৌছালে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার পথরোধ করে হামলা চালায়। আমাকে শ্বাস রোধে হত্যার চেষ্টা করে।
বাঁশের লাঠি, লোহাররড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আমাকে জখম করে। এসময় আমার কাছ থেকে বীমার লক্ষাধিক ছিনতাই করে নেয়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল হতে চিকিৎসা গ্রহণ করি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা সদর থানায় যোগাযোগ করা করে পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।