শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগর ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের ভাটায় পুড়ছে কাঠ। সাতক্ষীরা ইটভাটা মালিক সমিতি ও জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে জেলার সকল উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে ইটভাটা নীতিমালা অনুযায়ী সকল ভাটা মালিকদের কাঠ পড়ানো নিষেধ করা হয়। কিন্তু সেই নিষেধকে অমান্য করে নিজের প্রভাব খাটিয়ে গাজী ব্রিকস্ এর মালিক সিদ্দিকুর ইসলাম (বকুল) নিজের তিনটি ভাটা সহ উপজেলার সব গুলো ভাটাতে কয়লার বদলে পড়াচ্ছেন কাঠ।
স্বরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, “স” মিল (করাত কল) থেকে জ্বালানি কাঠ কিনে পোড়ানো হচ্ছে ইট। তবে প্রবেশ পথে সাংবাদিকদের বাঁধাসৃষ্টি করে গাজী ব্রিকস্ এর ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম লিটন ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। ফোন দেন মালিককে। শ্যামনগর ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে, ভাটার মালিক সিদ্দিকুর ইসলাম (বকুল) সত্যতা শিকার করে মোবাইলে বলেন, একটু কাঠ না পোড়ালে চলা যাচ্ছে না। কয়লার অনেক দাম। দেখা করেন নাস্তাপানির খরচ দেবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ইটভাটার মালিক জানান, উপজেলার কয়েকটি ইটভাটার মালিকরা বিভিন্ন দপ্তর ম্যানেজ করে ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করছেন। কয়লার মূল্য বৃদ্ধির ফলে কাঠ পোড়াচ্ছেন। কয়লার বদলে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ালে ৪০শতাংশ অর্থ সাশ্রয় হয়। সচেতন মহলের বক্তব্য, এই ইটভাটা গুলো উপজেলার চার সাইটে প্রশাসনের একেবারে নাকের ডগায়। তাহলে জ্বালানি হিসেবে কাঠ যদি নিষিদ্ধ হয়ে থাকে, তাহলে কাঠ কি ভাবে জ্বালানো হয়? এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের!
শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামানকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধ এমন বিধান থাকলেও শ্যামনগর উপজেলায় অবাধে কয়েকটি ইটভাটায় চলছে কাঠ পড়ানো।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুসারে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যায় না এবং জ্বালানি হিসেবেও ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার নিষেধের বিধানও রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় ইট ভাটার মালিকেরা জ্বালানি হিসাবে কয়লার পরিবর্তে ব্যবহার করছে কাঠ যা আইনে সম্পন্ন নিষিদ্ধ।