তালা অফিস : সাতক্ষীরার তালায় বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে চুরির অপবাদে আবারও সুরাইমান বিল্লাল (১৫) নামে নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রকে মারপিট ও নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারী) রাতে তালা উপজেলার কলাপোতা এলাকার জাকির হোসেনের মৎস্য ঘেরে। আহত শিশু সুরাইমান বিল্লাল লাউতাড়া গ্রামের মান্নান গাজী ছেলে ও তেরছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। সে বর্তমানে তালা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
সুরাইমান ও তার স্বজনেরা জানায়, তার একবন্ধুর সাথে গত ২ দিন আগে পার্শ্ববর্তী জাকির বিশ^াসের কলিনদা বিলের মৎস্য ঘেরে বেড়াতে যায় । এর দুদিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাকির হোসেনের ঘের কর্মচারী সোহেল সহ কয়েক তাকে বাড়ী থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ডেকে ঘেরে নিয়ে এক হাজার টাকা চুরির অপবাদে হাত-পা বেঁধে মারপীট করে। এ সময় শিশুটির পিতা মান্নানকে ফোনে মারপীট ও আর্ত চিৎকার শোনায়। শিশুর দাদা হোসেন গাজী জানান, সংবাদ পেয়ে ঘেরে পৌছে দেখি ঘের মালিক জাকির, কর্মচারী সোহেল, জয়দেব সহ কয়েকজন তখনও বিল্লালকে বেদম মারপীট করছে। এ সময় আমরা তাকে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে আসি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন সরদার জানান, ঘটনাটি শুনেছি, রাতের অন্ধকারে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে একটি শিশুকে নির্যাতন করা খুবই দুঃখজনক। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তেরছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, দরিদ্র পরিবারে ছেলে বিল্লাল আমার স্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়ে, সে খুবই শান্তশিষ্ট ভদ্র ছেলে। সে ভ‚ল করে থাকলে, তার মা-বাবাকে জানাতে পারতো, মারপীট করা মোটেও ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে ঘের মালিক জাকির হোসেন বিশ^াস মুঠোফোনে জানান, ঘেরের চুরির ঘটনায় কর্মচারীরা তাকে সন্দেহ করে দু-একটা চড় থাপ্পড় মারে। আমি গিয়ে তাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে দিই। আরেক অভিযুক্ত জয়দেব জানান, আমার পাশর্^বর্তী ঘের থাকায়, আমি সেখানে গিয়েছিলাম, কিন্ত আমি মারপীটের ঘটনার সাথে জড়িত নয়। এ ঘটনায় তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কমূকর্তা (ওসি) চৌধুরি রেজাউল করিম জানান, এবিষয় অভিযোগ এখনও আসেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।