শেখ বাদশা, আশাশুনি : আশাশুনি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা তালার খেশরা ইউনিয়নের মেশারডাঙ্গা গ্রামের আলোচিত নমিতা রানী হত্যা মামলায় প্রধান নিমাইপদ সানা, বুধহাটা কলেজিয়েট স্কুলের প্রভাষক প্রদীপ সরকার সহ ১৭জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
এদিকে প্রভাষক প্রদীপ সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকা ও হত্যা মামলার আসামি কর্তৃক পাঠদান বন্ধ করতে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বিগত ২০১৬ সালে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মেশারডাঙ্গা গ্রামের কার্ত্তিক ব্যানার্জীর স্ত্রী নমিতা ব্যানার্জীসহ তার পরিবারের উপর হামলা করে প্রভাষক প্রদীপ সরকার সহ তার সঙ্গপঙ্গরা।
হামলা ও মারপিটে নমিতা রানী ব্যানার্জী মারাত্মক ভাবে জখম হয়। দ্রæত তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন নমিতা রানী ব্যানার্জী। এ ঘটনায় নমিতার ভাসুর অধ্যাপক আদিত্য ব্যনার্জী বাদী হয়ে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার নং-সি আর ৩৫০/২২। উক্ত মামলায় বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের প্রভাষক প্রদীপ সরকার সহ তার সঙ্গপঙ্গরা পলাতক থাকার পর গত ২৪ জানুয়ারি-২৩ বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত প্রভাষক প্রদীপ সরকার সহ অন্যান্যদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। জানাগেছে প্রভাষক প্রদীপ সরকার মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলে অসুস্থ জনিত কারণ দেখিয়ে মেডিকেল ছুটির জন্য আবেদন করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন প্রভাষক প্রদীপ সরকার মেডিকেল ছুটির জন্য একটি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তার কারাগারে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পেলে আবেদনটি বাতিল করা হয়েছে। এমতাবস্থায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগটি আমলে নিয়ে মানুষ গড়ার পাঠশালায় থেকে শিক্ষক নামের কলঙ্ক, মানুষ হত্যাকারী প্রভাষক প্রদীপ কুমার সরকারকে অপসারণপূর্বক তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।