অহিদুজ্জামান, দেবহাটা ব্যুরো : বিশ্ব কবি রবিন্দ্র নাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সংঙ্গীতের ভাষায় বলা যায়, “মা তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে” সেই চিরাচরিত গানের ভাষায় মনে দোলা দেই, যখন বাস্তবে প্রকৃতির সেই দৃশ্য চোখে পড়ে। দেবহাটায় ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের সাথে সাথে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে সোনালী রঙের আমের মুকুল। দেবহাটা উপজেলা ও তার আশেপাশের এলাকাগুলোতে ছোট-বড় প্রায় সকল গাছে ঝুলছে থোকা থোকা আমের মুকুল। এতে বেড়েছে ভ্রমরের আনাগোনা আর সেই সাথে মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হচ্ছে দেবহাটা।
দেবহাটার গ্রামগুলোতে ঘুরে দেখা যায় বাড়ির আঙিনায় পুকুরপাড় বাগানসহ সকল আম গাছে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মুকুলে। ছোট-বড় প্রায় সকল গাছ মুকুলে ভরে গেছে স্থানীয় দেশি জাতসহ অম্রপালি, ফজলি, লতাই, ন্যাংড়াসহ নানা জাতের আম। আর গাছে এসেছে পর্যাপ্ত মুকুল। মুকুল আসলে অনেকেই গাছে স্প্রে করার জন্য ভ্রাম্যমাণ স্প্রেয়ের অপেক্ষায় থাকে।
আবার কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে স্প্রে করে থাকে। দেবহাটার বিভিন্ন নার্সারিতে কথা বললে নার্সারি মালিকগন বলেন, মুকুল আসার সাথে সাথে মুকুলে সকালে পানি স্প্রে করতে হয় ও হালকা কীটনাশক স্প্রে করা দরকার। কুয়াশা বেশি হলে আমের মুকুল পুড়ে যায়। মুকুল থেকে গুটি ধরার পরে গাছে পিপড়া লাগতে পারে, পিঁপড়া আমের গুটি ক্ষতিসাধন করে থাকে। তবে এ বছর কুয়াশা কিছুটা কম থাকায় আমের ফলন ভালো ও বেশি হতে পারে। এবিষয়ে দেবহাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর বলেন, এবছর আমের চাষ হয়েছে ৩৬৮ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফল পাবেন চাষীরা এবং চাষীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।