মঙ্গলবার , ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ২৭শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে খুলনায় আমিন উদ্দিন হত্যায় দু’জনের যাবজ্জীবন

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩ ১১:৫২ অপরাহ্ণ

খুলনা অফিস : খুলনায় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিন উদ্দিন হত্যা মামলায় দু’আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, রূপসা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ মিনা ও সাবাজ হালদার। একই সাথে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রæয়ারি) খুলনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মীর শফিকুল আলম। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোঃ এনামুল হক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৯ অক্টোবর রাতে আসামী শাবাজ হালদার, আমজাদ মিনা ও জলিল হাওলাদারসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জন হাতে রাইফেল, বন্দুক ও রামদাসহ ধারালো অস্ত্রের মুখে আমিন উদ্দিন শেখকে তার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। তাকে তার বাড়ির অদূরে একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। আসামীরা আমিন উদ্দিনের বুকে গুলি এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর মাথা পুকুরের পানিতে ফেলে দেয় এবং সেখান থেকে আসামীরা চলে যায়। পরে বাদীর ভাই, সাক্ষী ও ভাবী তার পিতার লাশ জড়িয়ে কান্নাকাটি করেন এবং তার পিতার খন্ডিত মাথা খোঁজাখুজি করেন।

পরদিন সকালে পুকুরের পানি থেকে খন্ডিত মাথা দেখে খুলনায় বসবাসরত বাদীর বড় ভাই বর্তমানে মৃত শেখ নিজাম উদ্দিনকে সংবাদ দিলে বাদীর বড় ভাই খুলনা থানা পুলিশের সহায়তায় বাদীর পিতার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করেন। নিহত আমিন উদ্দিনের লাশ ১৯৭১ সালের ২০ অক্টোবর বিকেল ৩ টার দিকে তাদের চাঁদপুর গ্রামের পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করে। পরে তারা বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে পুনরায় দেশ শত্রæমুক্ত হওয়ার পরদিন তাদের চাঁদপুর গ্রামের বসত বাড়ীতে ফিরে আসেন।

বাদী ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের জীবন নাশের হুমকির কারণে এবং পরিবেশ না থাকায় বাদী পরবর্তীতে কোন মামলা করতে পারেননি। সরকার নতুন করে আইনানুগভাবে সুযোগ প্রদান করায় নিহত আমিন উদ্দিনের ছেলে এ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আলী নিজে বাদী হয়ে তার পিতার নৃশংস হত্যাকাÐের বিচারের দাবি জানিয়ে আদালতে নালিশী দরখাস্ত দায়ের করেন। এ ঘটনায় রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদালতের নির্দেশে এফ.আই.আর ফরম পূরণ করে মামলা রুজু করেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি শেখ এনামুল হক বলেন, ১৯৭১ সালের ১৯ অক্টোবর আমিন উদ্দিন হত্যাকান্ডের পর তার পরিবারের সদস্যদের জীবনের হুমকি থাকার কারণে তখন মামলা করতে পারেননি। পরবর্তীতে ২০১০ সালে নিহতের ছেলে এ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তিন আসামীর মধ্যে জলিল হাওলাদার মৃত্যুবরণ করেছে। মঙ্গলবার সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামী শাবাজ হালদার ও আমজাদ মিনাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

দেবহাটার ইউএনও ও এসিল্যাল্ডের যৌথ অভিযানে অবৈধ নেট-পাটা অপসারন

পাইকগাছায় বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দু’গ্রুপের প্রস্তুতিসভা

ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

বুধহাটার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে এমপি রুহুল হক

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সাথে জেলা জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের  মতবিনিময়

শ্যামনগরে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ

সরকারের উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে: প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তালায় র‌্যালি

শ্যামনগরের নওয়াবেকী ও হরিনগর বাজারে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মনিটরিং

সিসিডিবির সেচ্ছাসেবকদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ