এসএম নাসিরউদ্দীন, দেবহাটা : দেবহাটার ভাতশালা সীমান্তে বাংলাদেশ-ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারনী ইছামতি নদীর ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহনেওয়াজ তালুকদার। বুধবার (৮ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে পাউবো-১’র ৩নং পোল্ডারের আওতাধীন ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধটি পরিদর্শনে যান তিনি।
পরিদর্শনকালে দেবহাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল, পাউবো’র সেকশন অফিসার (এস.ও) সাইদুর রহমানসহ স্থানীয় নের্তৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও ভাঙন কবলিত ইছামতি পাড়ের বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, স্রোতস্বিনী ইছামতি নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবাধে বালু উত্তোলন ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নেটের ঠেলা জাল দিয়ে প্রতিনিয়ত মাছ ধরার ফলে ক্রমশ বাংলাদেশ সীমানায় বেড়িবাঁধে তীব্র ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে ভারতের সীমানা পরপর ভরাট হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলে আসছে। তাছাড়া বেড়িবাঁধের কোল ঘেঁষে স্থানীয়দের অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের ও পুকুর খননের কারনে পরপর ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। নদী ভাঙন রোধ করতে হলে অবশ্যই স্থানীয় প্রশাসনকে এসকল বিষয়ে আরও কঠোর হতে হবে।
সীমান্ত পাড়ের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিগগিরিই ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধের পাশে ইছামতি নদীতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং ও তিনটি পুকুর ভরাটের কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, ইছামতি নদীর জোয়ারের তোড়ে গেল কিছুদিন ধরে ভাতশালা সীমান্তে বেড়িবাঁধে একের পর এক ফাঁটল দেখা দিচ্ছিল। সোমবার সকালে আকর্ষিক সেই ফাঁটল গুলোকে ভয়াবহ ভাঙনরূপে দেখতে পায় এলাকবাসি। এতে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে এনিয়ে গনমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর টনক নড়ে বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকা পাউবো কর্মকর্তাদের।