সকাল ডেস্ক : গত ১১ ফেব্রæয়ারী-২০২৩, শনিবার সকালে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং প্রত্যাশি সংস্থা নব জীবন, পলাশপোল, সাতক্ষীরা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “আর্সেনিকোসিস রোগীদের সচেতনতা সৃষ্টি এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক প্রকল্পের জন্য স্থাপিত স্যাটেলাইট ক্লিনিক সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জনাব সন্তোস কুমার নাথ।
এসময় সন্তোস কুমার নাথ কলারোয়া উপজেলায় কয়লা ইউনিয়নের কয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্যাটালাইট ক্লিনিক ঃ সাতক্ষীরা-১ এ অনুষ্ঠিত কাউন্সিলিং সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আর্সেনিকোসিস একটি মরণব্যাধি রোগ। প্রতি বছর বহু মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং সঠিক চিকিৎসার অভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে আর্সেনিকোসিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহজেই সুস্থ করে তোলা সম্ভব। আর এই কার্যক্রমে প্রকল্পটি যথাযথ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতা পরবর্তী আর্সেনিকে আক্রান্ত (আর্সেনিকোসিস) রোগীদের মাঝে বাংলাদেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. আব্দুল কাদের কর্তৃক উদ্ভাবিত আর্সেনিকিউর লোশন এবং ঔষধ বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নব জীবন এর নির্বাহী পরিচালক তারেকুজ্জামান খান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ জহিরুল ইসলাম, সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা, সাতক্ষীরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ রোকনুজ্জামান, কলারোয়া উপজেলার সমাজসেবা অফিসার মোঃ নুরে আলম (নাহিদ), কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহাবুবুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও কয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রউফ, প্রকল্প সমন্বকারী মোঃ আব্দুস সালাম, প্রকল্পের ফিল্ড মনিটরিং অফিসার মোঃ ইমরোজ হোসেন (জনি), মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ মাতিনুল হামিদ, মোঃ মিজানুর রহমান এবং মোঃ আনোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য যে, এই প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর ও সাতক্ষীরা জেলায় আর্সেনিকোসিস রোগীদের জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এতে আর্সেনিকোসিস রোগীদের প্রাথমিক জরিপ বা তথ্য সংগ্রহ করার পর চাঁদপুরে ও সাতক্ষীরায় স্যাটেলাইট ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্প কার্যক্রমে নিয়োজিত চিকিৎসকগণের মাধ্যমে জরিপভ‚ক্ত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে চাঁদপুরে ও সাতক্ষীরায় রোগী সনাক্ত এবং সনাক্তকৃত রোগীদের আর্সেনিকোসিস সচেতনতা মূল্যায়ন ও কাউন্সিলিং, প্রয়োজনীয় টেস্ট (পরীক্ষা), পথ সহযোগিতার মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা, ৬ মাস রোগীদের ফলোআপ, কাউন্সিলিং সহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।
##