রবিবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

পিবিআই কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের মামলায় সবুজ চৌধুরী জেলহাজতে

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩ ১১:২০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিনিধি : নিজেকে পিবিআই এর সাতক্ষীরার সিনিয়র অফিসার পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা ও অর্থ আদায় করে আসছিলেন খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার মৃত দ্বীপ শেখর চৌধুরীর ছেলে সবুজ চৌধুরী (৩৩)। কখনো আসামীর তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে, কখনো বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের সরল মনে বিশ্বাস স্থাপন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন সবুজ চৌধুরীসহ তার লোকজন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না সবুজ চৌধুরীর। পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই হলো তাকে।

বেরসিক পুলিশ সবুজ চৌধুরীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। তবে পলাতক রয়েছে সবুজ চৌধুরীর অপর সঙ্গীরা। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় মাঠে রয়েছে পুলিশের টিম। ভয়ংকর প্রতারক সবুজ চৌধুরী ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় ভুয়া সরকারি কর্মচারী পরিচয় ধারণ করে প্রতারণা করত: অর্থ আত্মসাত করার অপরাধে ১৮৬০ সালের দ্য পেনাল কোটের ১৭০/৪০৬/৪২০ ধারায় মামলা হয়েছে।

মামলা নং জিআর ৬০/২৩ (সাত)। মামলার বাদী সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মো: আব্দুল ওহাবের ছেলে এস.এম সেলিম হাসান (৩৮)। মামলার বাদী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৫ মাস পূর্বে সবুজ চৌধুরী (৩৩) বাদী সেলিম হাসানের বাড়িতে আসে। তার সাথে গ্রামের মৃত সুবল মÐলের ছেলে রবিন মন্ডল (৫৫), তার স্ত্রী চায়না রাণী মন্ডল (৪২) এবং তাদের ভাইঝি জয়ন্তী রাণী মন্ডল (৩০) ও আসে।

রবিন মন্ডল ও তার স্ত্রী চায়না মন্ডল বাদী সেলিম হাসানের সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়। তারা সবুজ চৌধুরীর ধর্ম বাবা, মা, বোন পরিচয় দেয়। সবুজ চৌধুরী বিভিন্ন সময় তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। সবুজ চৌধুরী নিজেকে পিবিআই এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার সিনিয়র অফিসার পরিচয় দেয়। বাদী সেলিম হাসান জানান, সবুজ চৌধুরী আমাকে ডিবি সাতক্ষীরার একটি মামলার চার্জশীট থেকে বাদ দিয়ে দেয়ার জন্য একটি এফজেড মোটরসাইকেল দাবী করে।

আমি অস্বীকার করায় আমাকে বিভিন্ন অজুহাতে ঢাকা, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, পাবনাসহ বিভিন্ন জায়গায় এমপি-মন্ত্রীর বাসায় নিয়ে পরিচয় করিয়ে দেয়। তাদের সাথে পরিচয়সহ মাছ, মিষ্টি কেনা বাবদ আমার প্রায় এক লক্ষ টাকা খরচ করায়। এছাড়া গত ১২-১০-২০২২ তারিখ সকাল সাড়ে ৮টায় সবুজ চৌধুরী আমার বাড়িতে বসে উপস্থিত সাক্ষীদের মোকাবেলায় নগদ ৫০ হাজার টাকা ধার হিসাবে গ্রহণ করে।

কিন্তু সে আমার টাকা ফেরত দেয়নি। পরবর্তীতে সে দুদলি গ্রামের মৃত রামচরণ সরকারের ছেলে সুভাষ সরকার (৫৪)কে একটি মামলা মিটিয়ে দেয়ার কথা বলে গত ৩০-১১-২০২২ তারিখ সকাল ১০টার দিকে সবুজ চৌধুরী আমার বাড়িতে বসে ৫০ হাজার টাকা নেয়। এছাড়া সদর উপজেলার খেজুরডাঙ্গা গ্রামের ক্ষীতিশ চন্দ্র সরকারের ছেলে পূর্ণেন্দু কুমার সরকার (৩৫)কে সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ে অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা চুক্তি করে।

এভাবে সে তার নিকট থেকে ১৮-০১-২০২৩ তারিখ সকালে সবুজ চৌধুরী সাতক্ষীরা থানাধীন বিনেরপোতা মেঘনার মোড়ে বসে উপস্থিত সাক্ষীদের মোকাবেলায় নগদ ৫০ হাজার টাকা নেয়। বাকী টাকা পরিশোধ করলে সে তাকে চাকরিতে যোগদান করিয়ে দিবে বলে অঙ্গীকার করে। এভাবে পাটকেলঘাটা থানার দুদুলি গ্রামের অরবিন্দু সরকারের ছেলে সৌরভ সরকার (২২) এর নিকট থেকে খুলনা ভ্যাট কাস্টমস’র সিপাহি পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ১৫-১০-২০২২ তারিখ বেলা ১২টার দিকে সবুজ চৌধুরী পাটকেলঘাটা ওভারব্রিজের নিচ থেকে উপস্থিত সাক্ষীদের মোকাবেলায় নগদ ৯০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু সে আমাদের কাউকে চাকরি দেয়নি।

এমতাবস্থায় ৩১-০১-২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সবুজ চৌধুরী এবং একজন মহিলা পুর্ণিমা (দিশা)সহ পূর্ণনেন্দু কুমার সরকারের বাড়িতে এসে রাত যাপন করে। চাকরির বাকী ৩ লক্ষ টাকা তার কাছে চায়। এ নিয়ে তাদের সাথে আমাদের কথাবার্তা হতে থাকে। কিন্তু সে আমাদের সাথে তার করা চুক্তি রক্ষা করতে না পারায় আমাদের তার প্রতি সন্দেহ হয়। তখন আমরা তার কাছে টাকা ফেরত চাই। তখন সবুজ চৌধুরীসহ তার স্ত্রী তাদের ব্যাগ কাপড় চোপড় নিয়ে পাশপালানোর চেষ্টা করে। তখন আমরা বিষয়টি বুঝতে পেরে সবুজ চৌধুরীকে আটক করে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেই।

সাতক্ষীরা থানা পুলিশ রাত  ৯টার দিকে পূর্ণনেন্দু কুমার সরকারের বাড়িতে হাজির হয়ে সবুজ চৌধুরীকে হেফাজতে নেয়। সবুজ চৌধুরীকে উপস্থিত লোকজনের সামনে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার কথা স্বীকার করে। থানা পুলিশ আসামীকে থানায় নিয়ে আসে। সুভাষ সরকারের ছেলে দেব সরকার জানান, সবুজ চৌধুরীর প্রতি সরল বিশ্বাস স্থাপন করিয়ে সরকারি কর্মচারী পরিচয় দিয়ে মামলা মিটানোসহ চাকরি দেয়ার কথা বলে তিন লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা প্রতারণামুলকভাবে আত্মসাৎ করেছে।

এদিকে দুধলী গ্রামের সুভাষ সরকার বলেন তার কাছ থেকে প্রতারণা করে দুই কিস্তিতে এক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে সবুজ চৌধুরী ও তার লোকজন। একই গ্রামের সৌরভ সরকার বলেন, তার নিকট থেকে নিয়ে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এসএম সেলিম হাসানের নিকট থেকে নিয়েছে এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। চন্দন সরকারের নিকট থেকে নিয়েছে এক লক্ষ টাকা। সদরের খেজুরডাঙ্গার পূর্ণেন্দু সরকারের নিকট থেকে হাতিয়েছে ৭৫ হাজার টাকা।

এভাবে প্রতারণার জাল ফেলে সবুজ চৌধুরী সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে জানান এলাকাবাসি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই সাইদুজ্জামান বলেন, সবুজ চৌধুরীকে উপস্থিত লোকজনের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অপরাধের কথা স্বীকার করে।

সবুজ চৌধুরীর সরকারি কর্মচারী পরিচয় দিয়ে মামলা মিটানোসহ চাকরি দেয়ার কথা বলে তিন লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা প্রতারণামুলকভাবে আত্মসাৎ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলাটি তদন্তাধীন। সে জামিনে মুক্তি পেলে পালিয়ে যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

বসন্তপুর নদীবন্দর চালুর ব্যাপারে ভারতীয় প্রতিমন্ত্রীর সাথে এজাজ আহমেদ স্বপনের মতবিনিময়

ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার নব-গঠিত কমিটির প্রথম সভা

পাইকগাছায় ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি. এর ৩১তম বার্ষিক সাধারণ সভা

মাস ব্যাপী ভলিবল প্রশিক্ষণের সমাপনী ও ভলিবল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

আশাশুনিতে বাজার বণিক সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

বিশেষ সম্মাননা সনদ পেলেন কালিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা

কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুরে ইসলামী ছাত্র শিবিরের অফিস উদ্বোধন

পিওর ক্রপস লিমিটেডের ৪বছর পুর্তি উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনা সভা

লাঙ্গল প্রতিক বিজয়ের লক্ষ্যে সদরের বাদামতলা ও ছনকায় নির্বাচনী জনসভা

ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট এন্ড বিজনেসমেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা শাখার সম্মেলন