মারুফ বিল্লাহ রুবেল, শ্যামনগর : শ্যামনগরে প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষার্থীদের উন্নতমানের খাবার খাওয়ালেন এমপি জগলুল হায়দার। প্রতিবন্ধীরা এখন সমাজের বোঝা নয়। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের কাছে আশির্বাদ স্বরূপ। নিজের সহধর্মিনীর নামে প্রতিষ্ঠিত শ্যামনগরের ফাতিমা জগলুল প্রতিবন্ধী স্কুলের ১৯৫ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে গত ইং ১ মার্চ বুধবার সকালে দীর্ঘক্ষন আনন্দঘন সময় কাটিয়ে তাদের নিজ হাতে ডিম ও গরম দুধ সহ উন্নতমানের খাবার খাওয়ালেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা প্রতিবন্ধীদের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ফুলবাড়ীতে ফাতেমা জগলুল প্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের দেখভাল করার জন্য শিক্ষকদের নির্দশনা দেওয়া সহ বিভিন্ন শ্রেণী কক্ষ ও স্কুল আঙ্গিনা ঘুরে দেখেন তিনি। সংসদ সদস্য সকল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেন তাদের কণ্ঠে গাওয়া গান শুনেন। এসময় তিনি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পরম মমতায় জড়িয়ে ধরেন এবং নিজ হাতে ডিম ও দুধ খাওয়ান।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন প্রতিবন্ধী শিশুদের গুরুত্ব ও পরম মমতায় দেখার জন্য স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষককে নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন, সবার জন্য সব মৌলিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে তাঁর সরকার বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য স্বাধীনতা নিয়ে এসেছেন। আমাদের লক্ষ্য হলো এই স্বাধীন দেশের সকল জনগণ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে এবং আমরা এই লক্ষ্য অর্জনে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশ রতœ শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি।’ দেশের ব্যাপক আর্থসামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে সংসদ সদস্য বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের ওপর জোর গুরুত্ব দিয়েছে, তিনি দেশের উন্নয়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের গুরুত্ব দিচ্ছি, যাতে তারা উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে না থাকে।’
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন-” শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব জি এম আকবর কবীর, উপজেলা রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিঠু উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: সুব্রত কুমার বিশ্বাস, অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষ রামকৃষ্ণ মন্ডল, শ্যামনগর উপজেলা অনলাইন নিউজক্লাবের সভাপতি মারুফ হোসেন (মিলন), , সহ অত্র স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীবৃন্দ ও অভিভাবকেরা।