সাতক্ষীরায় আজীবন রাজপথের লড়াকু সৈনিক, পাকিস্তানী স্বৈরশাসক বিরোধী ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম রূপকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসিম ময়নার সপ্তম মৃত্যবার্ষিকী আজ ৯ মার্চ। ২০১৬ সালের ৯ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শেখ আবু নাসিম ময়না ১৯৪৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শেখ আব্দুল ওহাব একজন ব্যবসায়ী ছিলেন এবং মাতা কাজী জেবুন্নেছা খাতুন গৃহিনী।
১৯৬৪ সালে সাতক্ষীরা পিএন হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাশ করার পর সক্রিয় ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। তিনি তৎকালীন সাতক্ষীরা মহাকুমা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। পাকিস্তানী স্বৈরশাসক বিরোধী ছাত্র গণআন্দোলন ও উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে তিনি সাতক্ষীরা মহাকুমা এলাকায় নেতৃত্ব দেন। সাতক্ষীরা কলেজ থেকে বিএ পাশ করা পর্যন্ত তিনি সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের মহান
মুক্তিযুদ্ধে তিনি অসামান্য অবদান রাখেন।
তিনি তালার বাথুয়ারডাঙ্গা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ করেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে তিনি তৎকালীন মহাকুমা ও পরবর্তীতে জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক ও সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ ৭৫ পরবর্তী তিনি সাতক্ষীরা শহরের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও তিনি জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর পাঁচ বছর পূর্বে ২০১১ সালের ১৯ মার্চ শেখ আবু নাসিম ময়নার স্ত্রী সাতক্ষীরা দিবা নৈশ কলেজের উপাধ্যক্ষ ডলি সুলতানা মৃত্যুবরণ করেন।
তিন বছর পর ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর মৃত্যবরণ করেন তার একমাত্র পুত্র সাতক্ষীরা জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শেখ আসিফ ইকবাল হিরক। কর্মসূচি: বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু নাসিম ময়নার ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং পারিবারিকভাবে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে ১১মার্চ সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীতে “সাতক্ষীরার নাগরিক আন্দোলন ও শেখ আবু নাসিম ময়না” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি