মঙ্গলবার , ২১ মার্চ ২০২৩ | ২৭শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে জীবন বদলে গেছে ডুমুরিয়ার ভূমিহীন ৮শ ৫টি পরিবারের

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
মার্চ ২১, ২০২৩ ১১:১৩ অপরাহ্ণ

খুলনা অফিস : পাকা ঘর ও এক খন্ড জমি পেয়ে জীবন বদলে গেছে খুলনা জেলার ডুমুরিয়ার ভূমিহীন ৮০৫টি পরিবারের। নুতন করে আরও ঘর পাচ্ছে ২শতাধিক পরিবার। যা প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায়। সারা জীবনের চেষ্টায় যারা মাথা গোজার মত এক টুকরো ভূমি সংগ্রহ করতে পারে তারা স্বপ্ন দেখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যানে এটা সম্ভব হয়েছে। জানা গেছে, ভূমিহীন মানুষ গুলো মাথা গোজার ঠাই পেয়ে অনেকে বেশ স্বাবলম্বী।

ঘরের পাশেই তারা গড়ে তুলেছে, সবজির মাচা, গরু-ছাগল পালনের জন্য করেছে গোয়াল ঘর। খালি জমিতে বেগুন, মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের শাক সবজির বাগান করেছে। উপজেলার কাঁঠালতলা, চুকনগর বাজার এলাকা, বরুনা, খাজুরা থুকড়া, শেয়ারঘাটা, আমভিটা, বাহাদুরপুর, বয়ারসিং, আশ্রয়ণের সারি সারি ঘর, যা দেখলে মন জুড়িয়ে যায়।

এখানে গড়ে উঠেছে ভূমিহীনদের বসতি ও সবুজের সমাহার। ঘরের বাসিন্দারা নারী পুরুষ জীবিকার সন্ধানে ছুটছে। অনেক নারীদের কেউ কেউ ব্যস্ত হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগলের কাজ নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে তুলেছে সবজি বাগান। কাঁঠালতলা বাজারের পাশে ভদ্রা নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই পল্লীতে শতাধিক ঘর সহ উপজেলায় ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের শান্তির নিবাসের বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৮০৫ শতাধিক। এ সকল আশ্রয়ণে তাদের জীবনের শুরুটা ভূমিহীন হলেও এখন তারা আর ভ‚মিহীন নয়।

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ‚মিহীনদের বসবাসের জন্য শুধু ঘর নয়, সরকারি ২শতক জমিও প্রদান করেন। এছাড়া শিক্ষার ছোঁয়াও লেগেছে তাদের মধ্যে। আশ্রয়ণে বসবাসরত ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। প্রতিটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের আশে পাশে রযেছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ফলে আশ্রয়ণে শিক্ষার প্রভাব পড়েছে। এতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ছেলে মেয়েরা শিক্ষারও সুযোগ পাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ছোট পরিসরে সারি সারি ঘর। ঘরের বাসিন্দারা ভ্যান চালক ও দিনমজুর। ভবিষ্যতের জন্য সবাই মিলে সঞ্চয় করছেন। অনেকে নিজেদের সুবিধা মতো ঘরের সঙ্গে পাওয়া জমিতে নানা ধরণের ফুল ও ফলের গাছ রোপন করেছেন। কাঁঠালতলা আশ্রয়নের বাসিন্দা রিনা পারভীন বলেন, আগে অন্যের জায়গায় ছোট ভাঙা ঘরে থেকে স্বামী ও সন্তান নিয়ে শীত-বৃষ্টি মৌসুমে লড়াই করে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করতাম। সরকার আমাদের নতুন ঘর দেয়ায় এখন আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি।

আগের মতো কষ্ট নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ আসিফ রহমান জানান, ইতি মধ্যে যারা ঘর পেয়েছেন, তারা স্বাচ্ছন্দে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনযাবন করছেন। এছাড়া করোনাকালে এ সকল দরিদ্র মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কোনো ভ‚মিহীন, গৃহহীন যেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার থেকে বঞ্চিত না হয়, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা অনুয়ায়ী বাংলাদেশে একজন মানুষও ভ‚মিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২২মার্চ উপহারের গৃহনির্মাণ উদ্বোধন করবেন।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত