মোঃ অহিদুজ্জামান, দেবহাটা ব্যুরো : চৌবাড়িয়া(উত্তর পাড়া) জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রæতার জের ধরে এক মৎস্য চাষীর ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে দুই লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ মার্চ/২০২৩ খ্রি: তারিখে বৃহস্পতিবার সকালে ভোমরা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া(উত্তর পাড়া) গ্রামে। মৃত তবিবুর রহমান সরদার এর ছেলে মো: তরিকুল ইসলাম, মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা, তিনি সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, বাউফল, পটুয়াখালীতে কর্মরত।
তিনি ২৪মার্চ/২০২৩ খ্রি: তারিখে কর্মস্থল হতে বাড়িতে এসে জানান যে, চৌবাড়িয়া(উত্তর পাড়া) মৌজার আমাদের পৌত্রিক জমি সহ আরোও কিছু মানুষের নিকট হতে হারি নিয়ে সর্বমোট সাড়ে ৭বিঘা জমিতে ২০০৩ সাল হতে এ যাবৎ পর্যন্ত (প্রথমে বাবা ও পরে আমি) সাদা মাছের ঘের পরিচালনা করে আসছি। গত ২৩মার্চ/২০২৩ খ্রি: তারিখে বৃহস্পতিবার সকালে আমার স্ত্রী মৎস্য ঘেরে গেলে মরা মাছ ভাসতে দেখে আমাকে মোবাইলে বিষয় টি জানায়, আমার ধারনা আমাদের জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রæতার জেরে আমার মৎস্য ঘেরে বিষাক্ত পয়জান প্রয়োগ করতে পারে প্রতিবেশী মৃত আঃ রাজ্জাক সরদারের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য জামাত নেতা, নাশকতা সহ একাধিক মামলার আসামী মো: মহিউদ্দীন সরদার(৬৩)।
ঘেরের মধ্যে (উত্তর পাশের্^) থেকে ০৮ শতাংশ জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার সত্তে¦ও ক্ষমতার জোরে জবর দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। উক্ত ৮শতাংশ জমির সকল কাগজ পত্র যার এস এ খতিয়ান নং- ৫৯৬, সাবেক দাগ নং-২৮৬৮, হাল খতিয়ান নং-১৩৮৭, হাল দাগ নং- ৫১৫৬ আমাদের নামে ও দখলে আছে। একাধিক মামলার আসামী, জামায়াত নেতা মো: মহিউদ্দীনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা সত্তে¡ও জমি দাবি করে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট সাতক্ষীরাতে ১৭/০৪/২০২২ ইং তারিখে একটি মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং সি আর ৩৮০/২২ (সাতঃ)।
উক্ত মামলায় রায় পাওয়ার আগে আমার ঘেরে সকল প্রকার ক্ষতিসাধন ও জোর পূর্বক জমি দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এই অভিযোগ পাওয়া পর্যন্ত ভুক্তভোগী আইনের আশ্রয় নিবেন বলে আমাদেরকে জানান। এব্যাপারে অভিযুক্ত মহিউদ্দীন সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উক্ত জমির এস এ খতিয়ান বিভিন্ন লোকের নামে তবে মাঠ জরিপের সময় আমাদের কাগজপত্র পায়নি বলে সেই সময় মাঠ জরিপ ও প্রিন্ট পচ্চা তাদের নামে করে নিয়েছে। বিষ প্রয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান।