মঙ্গলবার , ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

প্রতিনিয়ত নদী ভাঙন ও মৎস্য চাষের ফলে লবণাক্ত বৃদ্ধির কারণে উপকূলে সুপেয় পানির সংকট

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
মার্চ ২৮, ২০২৩ ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ

বিলাল হোসেন : শ্যামনগরের উপকূলে প্রতিনিয়ত নদী ভাঙন ও অপরিকল্পিত ভাবে মৎস্য চাষের ফলে এলাকায় লবণক্ত পানির পরিমান বেড়ে যাচ্ছে। হারাতে হচ্ছে মিষ্টি পানির উৎস্য সহ কৃষি জমির পরিমান। তবে লবণক্ততার কারণ সবচেয়ে বেশি সুপেয় পানির অভাব বোধ করে শ্যামনগরের উপকূলের মানুষ। তাদের এই সুপেয় পানির অভাব পুরুণ করতে পানি মেপে পান করতে হয়। নারীদের ৩-৪ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে সুপেয় পানি সংগ্রহ করতে হয়। এতে নানান রকম ঝুঁকির মধ্যে পড়ে থাকে নারীরা। ভৌগলিক ও মানবসৃষ্টি বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে সুপেয় পানির সংকট অত্যন্ত প্রকট। এই সংকট দক্ষিণ-পশ্চিম উপকুলীয় এলাকায় সবচয়ে বেশী।

উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পানি সংকটের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলবর্তী ১৯ টি জেলায় প্রায় ৩ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষের বসবাস। আধারযোগ্য পানি সংগ্রহ করতে পারে না এদের প্রায় ৩ কোটি মানুষ এবং দেড় কোটি মানুষ ভুগর্ভস্থ লবণাক্ত পানি পানে বাধ্য হচ্ছেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মতে যেখানে পানযোগ্য প্রতি লিটার পানিতে লবণের সহনীয় পরিমান ০ থেকে ১ হাজার মিলিগ্রাম সেখানে বাংলাদেশের উপক‚লে প্রতিলিটার পানিতে রয়েছে ১ হাজার থেকে ১০ হাজার মিলিগ্রাম লবণের উপস্থিতি। সারাদেশে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেও উপক‚লীয় অঞ্চল বরাবরই অবহেলিত।

বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত দেশের এই অংশে বসবাসরত মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপের ঘাটতি সহসাই পরিলক্ষিত হয়। শত প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্বেও কয়েকটি মেগা প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যেগুলোর বাস্তবায়ন গতি অতীব শ্লোথ। সামাজ কর্মী লির্ডাসের পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল বলেন, নদীভাঙন জনিত বন্যা, চিংড়ি চাষ, ভুগর্ভস্থ পানির লবণাক্ততার কারনে গত কয়েক বছরে সুন্দরবন এলাকায় সুপেয় পানির সংকট বেড়েছে। সুন্দরবন উপকুলে ৭৩% পরিবার সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত বা খারাপ পানি খেতে বাধ্য হয়। জীবিকা দুর্বলতা সূচক এবং পানি সম্পদ সূচকে সবচেয়ে উপরে রয়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা।

উপকূলীয় অঞ্চলে গত ৩৫ বছরে লবণাক্ততা পূর্বের তুলনায় ২৬% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যার পরিমান ২ পিপিটি থেকে বেড়ে ৭ পিপিটি হয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্র থেকে ভ‚ভাগের অনেক ভিতর পর্যন্ত লোনাপানি ঢুকে পড়েছে, ফলে লোকজনকে পানি ও খাবারের সাথে তুলনামূলক বেশি পরিমাণে লবণ গ্রহণ করতে হচ্ছে। এছাড়া লবাণাক্ততা বৃদ্ধি এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও ফেলেছে।

এছাড়া কয়েক জন চিকিৎসাবিদদের মতে এ এলাকার বসবাসকারীদের উচ্চ রক্তচাপ রোগে ভোগার সম্ভাবনা বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে লবণাক্ততায় আক্রান্ত এলাকায় গর্ভবতী মায়েদের প্রি-একলেম্পশিয়া ও উচ্চরক্তচাপের হার ৬.৮%-৩৯.৫% বেড়েছে। লবণাক্ততার কারনে উপকুলের নারীদের জরায়ু সংক্রমন বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। মাইলের পর মাইল পাড়ি দিয়ে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে নারীকেই। ফলে নষ্ট হচ্ছে নারীর শ্রমঘন্টা।

শিশুদের অনিরাপদ অবস্থায় রেখে যেতে হচ্ছে ও নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। শিশুদের শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। রোগব্যাধি বাড়ছে, সামগ্রিক জীবনের গুণগত মান হ্রাস পাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) অধ্যাপক দিলীপ কুমার দত্তের মতে শুধু সুপেয় পানির অভাবে উপকুলের মানুষ এলাকা ছাড়বে। ক্রমবর্ধমান দুর্যোগ, কর্মসংস্থানের অভাব, সুপেয় পানির সংকট, কৃষিকাজ সংকুচিত হওয়া প্রভৃতির কারনে উপকুল থেকে অভিবাসন বেড়েছে।

২০০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত সারা দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৭% থাকলেও ঐ সময়ে উপকুলীয় এলাকায় পুরুষের সংখ্যা কমে গেছে। এছাড়াও ২০০১ সালের তুলনায় ২০১১ সালে নারীর সংখ্যা বেড়েছে যা দেশের অন্যান্য এলাকার থেকে ভিন্ন। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল সুরক্ষায় বিভিন্ন সময় বেসরকারি সংস্থার মাধ্যেমে স্থানীয়ও জনগনদের সাথে নানাবিধি দাবী তুলে ধরেন।

দাবিগুলোর মধ্যে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলাকে জলবায়ু ঝুঁকিপুর্ণ বা দুর্যোগ ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে, দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলকে রক্ষার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে, জলবায়ু ঝুঁকি, দারিদ্র্য ও বিপদাপন্নতার মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার অধীন উপকূল সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির (বিশেষ করে নগদ ও খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি) আওতা ও পরিধি বাড়াতে হবে, উপকুলীয় সকল মানুষের খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে, গ্রহণকৃত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন দ্রæত করতে হবে, আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় সাধনে উপক‚ল উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে, ঝড়-ঝঞ্ঝা, নদীভাঙ্গন ও ভ‚মিক্ষয় ঠেকাতে উপক‚ল, দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি গ্রহণ এবং প্যারাবন বা সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে ও উপকুলের রক্ষাকবচ সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আক্তার হোসেন বলেন, শ্যামনগরের উপকূলে সুপেয় পানি সংকটে সরকারি বেসকারি ভাবে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে কিছু বাস্তবায়নও হয়েছে।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

গাবুরায় রেমাল আতঙ্কে দাদির কোলে উঠে ২০ দিনের নবজাতক আশ্রয়ণ কেন্দ্রে

ঈদ পরবর্তী যাত্রা নির্বিঘ্নে করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট

দেবহাটায় ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেপ্তার

এমপি রবি ফুটবল টুর্নামেন্টে চতুর্থ দিনের খেলায় ভোমরা ইউনিয়নের জয়লাভ

বল্লী ইউনিয়নে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে এমপি রবির উঠান বৈঠক

তালায় ফারুকের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

তালার জালালপুরে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা

হাইকোর্টের আদেশে চাম্পাফুল আচপম বিদ্যাপীঠে পুনঃ সভাপতি আব্দুল লতিফ

ব্যাংক প্রতারণার অভিযোগে সাতক্ষীরায় ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের অভিযানে নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার-২