বিলাল হোসেন : উপকূলে বাঁধ রক্ষার গাছ কেটে সংস্কার করা হচ্ছে বাঁধ। বিষয়টা একাধিক বার কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। দায় এড়িয়ে গেছে পাওবো কর্মকর্তা জাকির হোসেন ফেরদাউস। শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ পূর্বকালিনগরে ১৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৪৪৮ মিটার পাওবো বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়। কাজটির মূল ঠিকাদার হল যশোরের মুহিত উদ্দিন তার কাছ থেকে সাব ঠিকাদার হিসাবে কাজ নেন আশাশুনির মইনুল ইসলাম। ঠিকাদার ও পাউবো কর্মকর্তার যোগসাজসে অধিক লাভের আশায় স্কেভেটর মেশিন দিয়ে কাজ করছে।
যে কারণে মেশিন চালানোর পথ বের করতে নির্বিচারে কাটাছে সামাজিক বনায়নের বাঁধ রক্ষার হাজার হাজার গাছ। রবিবার সকালে সরজমিনে দেখা যায়, অশোক মন্ডল, সুমিতা মন্ডল, অঞ্জলি মন্ডল সহ একাধিক ব্যক্তি চুনা নদীর বনায়নের বড় বড় গাছ কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। কি কারণ গাছ কাটছে জানতে চাইলে তারা বলেন, রাস্তার কাজের জন্যে মেশিন চালাবে তাই আমাদের বাড়ির সামনের ও চরের গাছ কেটে নিতে বলছে। সেই সুযোগে ১০-২০ বছর বয়সের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সুভাষ মন্ডল (৭০) বলেন, আমরা ছোট বেলায় দেখেছি বাঁধ সংস্কার করতে ঝুড়া কোদাল দিয়ে গাছের কোন সমস্যা হত না কিন্তু কোন মেশিন টেশিন দিয়ে না। এখন দেখছি মেশিন দিয়ে বাঁধ সংস্কার করার জন্যে গাছ গুলো কেটে ফেলছে। খুব কষ্ট করে গাছ গুলো লাগানো। গাছ কাটা দেখে খুব খারাপ লাগছে।
পরিবেশবিদরা জানান, ষাটের দশকে নির্মিত বাঁধ রক্ষার জন্যে সামাজিক বনায়ন করা হয়। কিন্তু এখন ঠিকাদার ও পাউবো কর্মকর্তার সহযোগিতায় অধিক লাভের আশায় স্কেভেটর মেশিন দিয়ে কাজ করার কারণে নির্বিচারে গাছ কাটছে। এভাবে গাছ কাটলে পরিবেশের দিক দিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হবে। সংস্কার করা বাঁধ টিকিয়ে রাখতে গাছের প্রয়োজন কিন্তু যে গাছ কাটা হয়েছে এগুলো ২০ বছরেও লাগাতে পারবে না।
গাছ কাটার বিষয়ে সাব ঠিকাদার মঈনুল ইসলাম বলেন, মেশিন দিয়ে কাজ করার সার্থে কিছু গাছ কাটতে বলেছি কিন্তু বনায়েনের গাছ তো স্থানীয়দের কাটতে বলিনি। পাউবোর উপসহকারি প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদাউস বলেন, আমরা কাওকে গাছ কাটতে বলিনি। কেও যাদি গাছ কাটে আমরা কি করতে পারি। সামাজিক বনায়নের দায়িত্বে থাকা পিরামিন ইসহাক বলেন, আমরা শুনেছি চরের বড় বড় গাছ কেটে নিচ্ছে বিষয়টা দেখবো।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আক্তার হোসেন বলেন, আমি বিষয়টা নিজে যেয়ে দেখবো আর স্থানীয় চেয়াম্যানকে বলে দিয়েছি গাছগুলো জব্দ করতে।