শেখ মোসলেম আহম্মেদ, কলারোয়া : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের গুটি। চলতি মৌসুমে অনুকুল আবহাওয়ায় গুটি নষ্ট হবার সম্ভাবনা কম। তাই এবারও আমের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন আম চাষিরা। গত ৩ বছরে সারাদেশ করোনা মহামারী থাকায় ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এবার বিদেশে রপ্তানিও করা যাবে বলে, মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আম গাছ গুলোতে ছোট-বড় আকারে গুটিতে ভরে গেছে। অনেক বাগানে এখন পরিপূর্ণ আমে ধরণ আসতে শুরু করেছে। সময়ের ব্যবধানে ধীরে ধীরে আম বড় হচ্ছে। এ বছর গাছে গুটির পরিমান বেশি। তাই বাতাসে দুলছে আমচাষীদের ভাগ্য। আমচাষী ও কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এবারও কলারোয়া উপজেলায় আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
তাদের বক্তব্য- প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে পাশাপাশি ভালো মতো পরিচর্যা হলে চলতি মৌসুমে আমের ফলন গত সকল মৌসুমকে টপকে যাবে। তাই আশায় বুক বেধে আম চাষিরা আগাম শুরু করেছেন পরিচর্যা। তাদের একমাত্র ভরসা চলতি মৌসুমে তারা আম থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। মৌসুমি আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা জানান, প্রকৃতি এ রকম থাকলে ফলন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। উপজেলায় বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়ে থাকে।
এরমধ্যে হিমসাগর, ল্যাড়া, গোবিন্দভোগ, মল্লিকা, আ¤্রপালি, বোম্বাই, লতা, দেশীয় লতা ইত্যাদি। তারা আরো জানান, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের পরামর্শে গাছে মুকুল আসার ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই তারা পুরো গাছ সাইপারম্যাক্রিন ও কার্বাজিন গ্রুপের কীটনাশক দিয়ে ভালোভাবে স্প্রে করে গাছ ধুয়ে দিয়েছেন। এতে গাছে থেকে শোষক জাতীয় পোকা নিধন হয়েছে।
উপজেলার ইলিশপুর গ্রামের রিপন হোসেন জানান, এ বছরের আবহাওয়া আমের জন্য কিছুটা অনুকুলে রয়েছে। কিছুই দিন আগে যে বৃষ্টি হয়েছে তাতে আমের জন্য খুব ভালো হয়েছে। এর মধ্যে অনেক গাছে গুটি ছাড়িয়ে আমে পরিণত হয়েছে। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবুল হোসেন মিয়া জানান, ধান, পাট বা অন্য ফসলের মত আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও কৃষি অধিদফতরের কাছেই থাকে। কারণ কলারোয়া উপজেলার আম দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের বাজারে যায়। এ বছর উপজেলায় আমচাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবারও আমের বাপ্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা করেন।