নিজস্ব প্রতিনিধি : তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের পাঁচপাড়া এলাকায় পলাতক আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা কোম্পানির সদস্যরা। এ সময় র্যাবের হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলম সরদার।
এ ঘটনায় ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা র্যাব-৬ এর ডিএডি বাবুল মিয়া বাদী হয়ে রবিবার (৯ এপ্রিল) পাটকেলঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-৬।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, র্যাব সদস্যরা পাঁচপাড়া গ্রামে আসামি ধরতে গেলে ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির সদস্যরা ভুয়া র্যাব বলে অভিযানকারী দলের সদস্যদের মারধর করে বাথরুমে আটকে রাখে এবং আসামি ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে র্যাবের অতিরিক্ত ফোর্স গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে।
র্যাব- ৬ খুলনার সাতক্ষীরা শাখার কর্মকর্তা মেজর গালিব জানান, পাঁচপাড়া গ্রামের আলম সরদারের নামে বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগ রয়েছে জানতে পেরে তাদের কয়েকজন সদস্য শনিবার দুপুরে সেখানে যাচাই করতে যান।
এ সময় র্যাব সদস্যদের জখম, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও তিন হাজার ৫১০ টাকা চুরির অভিযোগে ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমসহ নয়জনকে আটক করা হয়।
এদিকে রোববার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা কোম্পানি জানায়, শনিবার (৮ এপ্রিল) র্যাব-৬ সাতক্ষীরা কোম্পানির একটি আভিযানিক দল পলাতক আসামির ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য পাটকেলঘাটা থানার পাঁচপাড়া এলাকায় যায়।
ওই এলাকায় পলাতক আসামির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করার সময় এক ব্যক্তি র্যাব সদস্যদের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এবং স্থানীয় কিছু উদ্ধত লোক জড়ো করে। এসময় র্যাব সদস্যরা র্যাবের জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় আইডিকার্ড প্রদর্শন করে। তারপরেও স্থানীয় কিছু দুস্কৃতিকারী ভুয়া র্যাব বলে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করে।
ফলে র্যাব সদস্যদের সঙ্গে দুস্কৃতিকারীদের কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। এসময় দুস্কৃতিকারীরা র্যাব সদস্যদের মারতে উদ্যত হয়। ইতোমধ্যে র্যাবের টহল দল এলাকায় প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৬), মো. সোহাগ সরদার (২৮), মো. কবিরুল ইসলাম (৩৯), মো. আমিনুল ইসলাম (৩৭), মো. আফজাল খাঁ (৫৮), সোহান সরদার (১৯), শহিদুল ইসলাম বাবলু (৫৫), মো. রফিকুল ইসলাম (৩৮) ও মো. আজগর আলীকে (১৮) আটক করেছে। আটক দুস্কৃতিকারী এবং পলাতক আসামিদের ব্যাপারে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে র্যাব-৬।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, উক্ত ঘটনায় র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার (ডিএডি) মোহাম্মদ বাবুল মিয়া বাদি হয়ে রবিবার থানায় একটি মামলা(যার মামলা-৬, তারিখ ০৯/০৪/২০২৩) দায়ের করেছেন। মামলায় গ্রেপ্তারকৃত নয়জনসহ ৩৪ জনকে আসামী করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত নয়জনকে রবিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
