শেখ মোসলেম আহম্মেদ, কলারোয়া : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম এ ফারুক (৮০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না—রাজিউন)। বুধবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৬ টার দিকে ঢাকার শ্যামলীতে ছেলের বাসায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ মেয়ে ও ১ ছেলেসহ অসংখ্যা গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
জীবদ্দশায় অধ্যাপক এমএ ফারুক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানান সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি কলারোয়ায় হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের হোমিও অনুরাগী সদস্য, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, কোটারমোড় মমতাজ আহম্মেদ কৃষি কলেজ, যুগিখালী মমতাজ আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলারোয়া মমতাজ আহম্মেদ মিউনিসিপ্যাল স্কুল, বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজসহ স্থানীয় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও প্রতিষ্ঠার পিছনে তার অবদান ছিলো বিশেষ। সদ্যপ্রয়াত অধ্যাপক এমএ ফারুকের রুহের মাগফিরাত ও শোকাহত পরিবারবর্গকে সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। অধ্যাপক এমএ ফারুকের লাশ কলারোয়ার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়ায় দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বুধবার সন্ধা ৭ টা ১৫ মিনিটে কলারোয়া ফুটবল মাঠে অধ্যাপক এম এ ফারুক’র প্রথম জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজের পূর্বে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে অধ্যাপক এম এ ফারুক’র প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন, কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, শিক্ষাবিদ প্রফেসর আবু নসর, অধ্যাপক এম এ ফারুক’র ছেলে ফয়সাল আহমেদ অনি প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সহ সভাপতি শেখ সাহিদ উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন, অধ্যাপক এম এ ফারুক’র ভাই ফেরদৌস, জি এম ফাত্তাহ, জিএম ফৌজি, আবু ফরহাদ, ফোহাদ, চাচাতো ভাই কেঁড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য ও কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আমজাদ হোসেন, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মীর মোস্তাক আলী, কলারোয়া বঙ্গবন্ধু মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, সহ-অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম শাহীন, সীমান্ত আদর্শ কলেজের সহ অধ্যাপক কবি মনিরুজ্জামান মন্ময় মনির, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ্যাড: শেখ কামাল রেজা, সহ জানাযার নামাজে সর্ব স্তরের মানুষ। জানাযার নামাজ পরিচালনা করেন মাও. হাবিবুর রহমান।
পরে অধ্যাপক এম এ ফারুক’র মরাদেহ কলারোয়া বঙ্গবন্ধু কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কলেজের সকল পর্যায়ের শিক্ষকরা শেষ বারের মতো শ্রদ্ধা জানান কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক এম এ ফারুকে’র প্রতি। সেখান থেকে অধ্যাপক এম এ ফারুক কে তার গ্রামের বাড়ি বোয়ালিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। বোয়ালিয়া গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।