বাবলা আহমেদ, কালিগঞ্জ ব্যুরো : আজ পহেলা বৈশাখ ১৪৩০। এই দিনটির সাথে বর্ষপঞ্জিতে যোগ হল নতুন একটি বছর। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল চৈত্র সংক্রান্তি এবং বাংলা ১৪২৯ সালের শেষ দিন। জীর্ণ-পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ – এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি।
বাংলা নববর্ষ উদযাপন বাঙালির এক অনন্য উৎসব। পৃথিবীর বেশির ভাগ উৎসবের উৎপত্তি কোনো না কোনো ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত; কিন্তু বাংলা নববর্ষের সঙ্গে কোনো ধর্মীয় সম্পর্ক নেই। এর প্রচলন হয় প্রধানত কৃষি ও কর আদায়ের ব্যবস্থাকে ঘিরে। পরে এটি ব্যবসা-বাণিজ্যের হিসাব নিষ্পত্তির সঙ্গে যুক্ত ছিল। দিনে দিনে পহেলা বৈশাখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন একটি সর্বজনীন সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে বাংলার সব মানুষের প্রাণের উৎসব।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল)পহেলা বৈশাখ সকালে নতুন সূর্যের দীপ্ত আলোয় সকাল ৮.৩০ টায় কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে শুরু হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা’র নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আজাহার আলী, কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাকিম, থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ এবাদ আলী, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সহ সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, সহ সভাপতি বাবলা আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুল, উপজেলা দুর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির উপজেলা সভাপতি উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, উদীচী শিল্পী গোষ্টী ও সূধীবৃন্দ। পরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।