বাবলা আহমেদ, কালিগঞ্জ ব্যুরো : কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার ( ১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর মুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্প মাল্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে ১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের পটভ‚মি ও পেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সুকুমার দাশ বাচ্চুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মামুন রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মথুরেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাকিম, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কালিগঞ্জ শাখার সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, কালিগঞ্জ সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিএম আব্দুল্লাহ হাসান, সভায় অনন্যার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবুল কাশেম মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ভাড়াসিমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নাঈম, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোবিন্দ মন্ডল মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌস মোড়ল, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভিন, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের প্রভাষক সৈয়দ মাহমুদুর রহমান প্রমূখ। সভায় সরকারি কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি সাংবাদিক সুধী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল এই দিনে মেহেরপুর জেলার আম্রকানন বৈদ্যনাথ তলায় শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের যাত্রা শুরু হয়।
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মুনসুর আলী ও এম কামরুজ্জামান এর নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকারের সফল নেতৃত্বে নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করে। সর্বপ্রথম ভারত ও ভুটান এই সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। শুধু তাই নয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ এই প্রথম সরকারের ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। ঐতিহাসিক এই দিনের প্রেক্ষাপট স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে বেশি বেশি করে জানাতে এবং সচেতন করতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তাদেরকে সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভ‚মিকা রাখতে হবে।